বাসস দেশ-২২ : মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে এপিএ স্বাক্ষর শনিবার

176

বাসস দেশ-২২
এপিএ-স্বাক্ষর
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে এপিএ স্বাক্ষর শনিবার
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান এ কথা জানান।
মুজিবুর রহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিশেষত্ব হলো- সপ্তম পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনাসহ রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প, পিপিপির আওতায় গৃহীত প্রকল্প এবং সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও তাদের আওতাধীন অধিদফতর, সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলো সমঝোতা দলিল সম্পাদন করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালার আলোকে যথাযথভাবে প্রণীত হয়েছে কিনা, সে লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সদস্যদের নিয়ে মোট সাতটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় পাওয়া সুপারিশগুলোর আলোকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির দলিলগুলো মন্ত্রীদের মাধ্যমে অনুমোদন লাভ করে। ২০১৯-২০ অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর উক্ত অর্থবছরের চুক্তিকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে গত অর্থবছরে যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ভালো করেছে তাদের মধ্য থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট দেয়া হবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনলাইনে দাখিল ও যথাযথ পরিবীক্ষণের নিমিত্তে ব্যবহার নির্দেশিকা ও তিনটি আলাদা নীতিমালা নির্দেশনা জারিসহ ভিডিও টিউটোরিয়াল ও এফএকিউ প্রণয়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরে মাঠপর্যায়ের কার্যালয় পর্যন্ত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনলাইনে দাখিল ও যথাযথ পরিবীক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৮১২/কেএমকে