বাসস দেশ-২১ : ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত

204

বাসস দেশ-২১
এলিভেটেড-চুক্তি
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নকশা রিভিউ ও নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং টেকনিকা ওয়াই প্রোয়েকটোস ও বাংলাদেশের ডিওএইচডব্লিউএ-ডিডিসি কোম্পানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনশ চার কোটি চৌদ্দ লাখ উনসত্তর হাজার চারশ নিরানব্বই টাকার চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোনিও রোদ্রিগ্রেজ কাসটেলানোস চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে বনানীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের জানান, এয়ারপোর্ট হতে আব্দুল্লাপুর-ধউর-বড় আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রকল্প সহায়তা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা এবং জিওবি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় আশুলিয়া এলাকার বিস্তীর্ণ হাওরের জলপ্রবাহ অবাধ রাখা, ঢাকা মহানগর ঘিরে সার্কুলার জলপথ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আশুলিয়ায় বিদ্যমান সড়ক বাঁধের পরিবর্তে প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চারলেন সেতু নির্মাণ করা হবে।
এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে বিদ্যমান প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, নবীনগরে দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় এক কিলোমিটার। সড়কের দুপাশে প্রায় ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগরীর সাথে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ও ইপিজেড এলাকার যোগাযোগ সহজতর করতে বাংলাদেশ ও চীন সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শীঘ্রই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে এবছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৮১ ভাগ। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯৩টি পাইল সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ১টি পাইল ড্রাইভের কাজও ১৫ জুলাই এর মধ্যে শেষ হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়া সাইটে এ পর্যন্ত ট্রাস (স্প্যান) এসেছে ২৫টি, যার মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ২১০০ মিটার দৃশ্যমান।
এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামসহ সেতু বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৮১০/শআ