ঢাকায় ‘ওআইসি সিটি অফ ট্যুরিজম’ উদযাপন শুরু হচ্ছে আজ

457

॥ তানজিম আনোয়ার ॥
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস): রাজধানী ঢাকায় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ‘ওআইসি সিটি অফ ট্যুরিজম-২০১৯’। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষে ৪০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই নগরীর সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য প্রদর্শনের লক্ষ্যেই ঢাকা এবারের এই আয়োজন।
গত বছর ইসলামিক কনফারেন্স অব টুরিজম মিনিস্টারস (আইসিটিএম)-এর শেষ অধিবেশনে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের দশম সম্মেলনে ২০১৯ সালের জন্য ঢাকাকে ‘ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এসময় ওআইসি’র এসিসটেন্ট সেক্রেটারি মুসা কুলাকলিকায়াসহ ৩০টি ওআইসি সদস্যে দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুসা ওআইসি’র মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওতাইমীনের বিবৃতি পাঠ করবেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি) বিকেলে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জন্য ঢাকা শহরের ট্যুরের ব্যবস্থা করবে। ওআইসি প্রতিনিধিদল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৫০০ বছর পুরোনো পানাম নগরী পরিদর্শন করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিটিবি শুক্রবার রাতে হাতিরঝিলে কনসার্ট, লেজার শো এবং ফায়ারওয়ার্ক প্রদর্শন করবে।
বোর্ড বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে বিদেশী অতিথির জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্বাগত ও বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এম মহিবুল হক আজ বাসস’কে জানান, ‘ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সামনে তাদের নিজ-নিজ দেশে আমাদের পর্যটনকে তুলে ধরতে উৎসাহিত করার জন্য আমরা ঢাকা’র সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও মুসলিম ঐতিহ্য, বিশেষ করে প্রতœতাত্তিক নিদর্শন সমূহ প্রদর্শন করবো।’
সচিব আশা প্রকাশ করেন, ঢাকায় ওআইসি’র এই আয়োজনের ফলে মুসলিম ঐতিহ্যের আবাসস্থল হিসেবে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মুসলমান ও অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
২০২০ সালে আজারবাইজানের গাবালাকে ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম করার বিষয়টি নিয়েও এবার আলোচনা করা হবে।
মুসলমানদের উপযোগী পর্যটন পণ্য ও পরিষেবাগুলোর চাহিদা পূরণ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ৫০ টিরও বেশি মুসলিম দেশের বাজারের সম্ভাবনা এবং ১.৬ বিলিয়ন মুসলমান, সংখ্যা হিসেবেও কম নয়।