মাগুরা, ১০ জুলাই ২০১৯ (বাসস): জেলায় ‘মুজিববর্ষ ২০২০: ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাগুরা জেলা প্রশাসন আজ বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আলী আকবর।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুস সালাম। প্রবন্ধে বলা হয়, আগামী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। এই দিবসটিকে প্রতিবছর জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগামী ২০২০ সালকে ‘মুজিববর্ষ ২০২০ সাল’ হিসেবে পালন করার লক্ষে বর্ষব্যাপি জেলায় নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, বঙ্গবন্ধুর উপর সেমিনার ও কর্মশালা, ভিডিও প্রদর্শনী, গ্রাম হবে শহর বিষয়ক সচেতনাতামূলক প্রচারণা, বঙ্গবন্ধুর জীনালেখ্যর উপর রচনা, চিত্রাংকন, কবিতা, কুইজ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষনা পঠন ও বিশ্লেষন, ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’র কর্মক্ষেত্র ও সুবিধার উপর প্রামান্য অনুষ্ঠান, ইনোভেশন শোকেজিং, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উপর সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচার উপর প্রতিযোগিতা, জেলা ব্রান্ডিং, সেরা ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান, আন্তঃজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ প্রভৃতি।
সেমিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ও কর্মজীবন এবং তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও সাফল্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ পালন উপলক্ষে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি ‘মাগুরায় বঙ্গবন্ধু’ শিরনামে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেমিনারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।