বাজিস-১ : বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭

123

বাজিস-১
কক্সবাজার- ট্রলার ডুবি-আপডেট
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
কক্সবাজার, ১০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস): জেলায় সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে ভেসে আসা একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে দুইব্যক্তির মৃতদেহ এবং ট্রলারের অদূরে পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় আরো চারব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, ঘটনাস্থল থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে আরো ২ জনকে।
মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে মৃত ৬ জন এবং জীবিত ২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, কক্সবাজার সৈকতে একটি ট্রলার ভেসে আসার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই সময়ে ট্রলারের ভিতর থেকে ২ জনকে অত্যন্ত মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ট্রলারের ভেতরে পাওয়া যায় ২ জনের মৃতদেহ এবং ট্রলারের অদূরে পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরো ৪ জনের মৃতদেহ।
তিনি জানান, ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান আরও জানান, জীবিত উদ্ধার ২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন-ভোলার চরফ্যাশনের মো. জুয়েল (২৫) ও মনির আহমদ মাঝি (৩৫)।
চিকিৎসাধীন দুইজেলে আজ দুপুর নাগাদ কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।তারা জানান, পাঁচদিন আগে ভোলার চরফ্যাশন থেকে একটি ট্রলার নিয়ে তারা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ট্রলারে ১৫ জন জেলে ছিল। রোববার সকালে ট্রলারটি সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে। ওই সময়ে ট্রলারের ইঞ্জিনও বিকল হয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তারা ২ জন বেঁচে গেলেও তাদের অন্য সহকর্মিদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তারা জানেনা।
উদ্ধারকৃত ট্রলারের মাঝি মনির আহমদ বলেন, ‘সহকর্মি জেলেদের সাগরে ভেসে যেতে দেখেছি। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে জানিনা।’
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, ‘উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় নিখোঁজ আরো অন্তত ৭ জেলের সন্ধানে অভিযান চলছে।’
তিনি জানান, বৈরি আবহাওয়ায় ৫ দিন ধরেই সাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আঘাত হানছে।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত ২০ মে থেকে টানা ৬৫ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ কারণে কোন ট্রলার এখন সাগরে যাচ্ছে না। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে উত্তাল ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে ভোলার একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়েছে।এতে জেলেদের প্রাণহানি ঘটেছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক।
তিনি সাগরে ট্রলার দুর্ঘটনা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার ও প্রাণহানির জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রলার মালিককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় এরআগে পুলিশ ধারনা করেছিল উদ্ধারকৃত ট্রলার ও মৃতদেহগুলো মিয়ানমার থেকে ভেসে এসেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬৫৫/এমকে