বাসস দেশ-২৭ (প্রথম কিস্তি) : যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস থেমে থাকবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

264

বাসস দেশ-২৭ (প্রথম কিস্তি)
মোমেন-যুক্তরাষ্ট্র-আবহাওয়া
যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস থেমে থাকবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাসের ব্যাপারে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রর সরকার নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও জলবায়ু অভিযোজন পদক্ষেপের বৈশ্বিক প্রচারণা বন্ধ হবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো এই চুক্তির সঙ্গে রয়েছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংকালে তিনি একথা বলেন।
মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে সরে গেলেই সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে না। এর ফলে চুক্তিটিতে স্বাক্ষরিত মাত্র একটি দেশ নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলো চুক্তিবদ্ধ থাকবে। ৭৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরতর ইস্যু এবং তাদের সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অল্প সময়ের জন্য প্যারিস চুক্তি থেকে দূরে থাকবে। আমরা আশা করছি যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী আবার এতে (প্যারিস চুক্তি) অংশ নিবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী (এসডিজি বিষয়ক) মুখ্য সমন্বয়ক মো. আব্দুল কালাম আজাদও এতে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বুধবার এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মার্শাল আইল্যান্ড প্রেসিডেন্ট ড. হিলডা হেইন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন ও বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভার আগামীকাল বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে সফরকালে আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন এই ব্যক্তিবর্গ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গা জন¯্রােতের আগমনের কারণে এখানকার পরিবেশগত ঝুঁকি প্রত্যক্ষ করবেন তারা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে দেখাতে চাই যে রোহিঙ্গা জন¯্রােত আমাদের পরিবেশের উপর কিভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় দানের কারণে কক্সবাজারের পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে বাংলাদেশের বৈশ্বিক সহয়তার প্রয়োজন।
আজাদ বলেন, ‘বিশ্বনেতারা সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া আমাদের জন্য সহজ হবে ।’
মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠক বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার ভোরে ও বান কি-মুন বিকেলে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন তাদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
চলবে-/বাসস/টিএ/কেএআর/২০১৫/কেএমকে