বাসস দেশ-২২ : দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে : প্রথম পর্যায় ৮৭ একর জমির দলিল হস্তান্তর

199

বাসস দেশ-২২
ইপিজেড – জমি -হস্তান্তর
দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে : প্রথম পর্যায় ৮৭ একর জমির দলিল হস্তান্তর
দিনাজপুর, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দিনাজপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে প্রথম পর্যায়ে আজ ৮৭ একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের পক্ষে নামমাত্র মূল্যে অর্থাৎ ১ হাজার ১ টাকার বিনিময়ে এ জমি হস্তান্তর করা হয়।
আজ সোমবার বিকেল ৪টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আজ সোমবার দুপুর ২টায় দিনাজপুর সদর রেজিষ্ট্রি অফিসে জেলা প্রশাসকের পক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর ৮৭ একর খাস জমি নামমাত্র মূল্যে (১ হাজার ১ টাকা) দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসক সম্পাদিত দলিলের একটি অনুলিপি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ আবু লাহেলের নিকট হস্তান্তর করেন ।
তিনি জানান, রংপুর বিভাগে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে প্রস্তাবনা রয়েছে। দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে ৩০৮ দশমিক ৩৯৫০ একর জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার সুন্দরবন মৌজায় সরকারের ৮৭ একর খাস জমি ছিল উল্লেখ করে মাহমুদুল আলম বলেন,ওই জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বরাবর হস্তান্তর করতে ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের অনুমতি প্রদান করায় দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে কার্যক্রম শুরু হয়। এ অঞ্চলের জন্য এটি একটি ‘মাইল ফলক’ । সে আলোকেই আজকের এই জমি দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন,অবশিষ্ট ২২১ দশমিক ৩৯৫০ একর সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় ওই জমিগুলো অধিগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপ-ব্যবস্থাপক আবু লাহেল জানান, নবগঠিত দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করতে যে সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে আজ সোমবার ৮৭ একর জমি দলিল সম্পাদনের মধ্যদিয়ে তার সুচনা করা হলো। এখন অবশিষ্ট ২২১ দশমিক ৩৯৫০ একর জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুরতে রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ, অবকাঠামো নির্মাণ, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা প্রভৃতি কাজ চলমান থাকবে।
তিনি জানান, এখানকার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের জন্য কৃষি ভিত্তিক কলকারখানা স্থাপনের উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। সম্প্রতি এই জেলার হাকিমপুর উপজেলার ইসুবপুর গ্রামে লোহার খনি আবিস্কার হওয়ায় এখানে আয়রন ভিত্তিক কলকারখানাসহ গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং উন্নয়নমুখী কলকারখানা গড়তে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান করা হবে।
আবু লাহেল জানান,এই অঞ্চলের বেকারত্ব দুর করতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল যাতে ব্যাপক উন্নয়নমুখী ভুমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জয়নুল আবেদীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মোঃ মাহফুজুল আলমসহ দিনাজপুরের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/১৯৪০/কেএমকে