বাজিস-১৩ : টানা বর্ষণে পার্বত্যাঞ্চলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

132

বাজিস-১৩
টানা বর্ষণে পার্বত্যাঞ্চলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
বান্দরবান, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : চারদিনের টানা বর্ষণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের নয় মাইল এলাকায় পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে স্থানীয়রা সড়কের উপর থেকে ধসে পড়া মাটি সরিয়ে ফেললে সড়ক যোগাযোগ আবারও চালু হয়।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীতে এখন প্রবল ¯্রােত। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলার পৌর এলাকাসহ জেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বান্দরবানের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার জন্য অভিযান চালিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ।
আজ সোমবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো: দাউদুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানের সময় জেলা সদরের ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটা, লাঙ্গীপাড়া, বড়–য়ার টেক, হাফেজঘোনা সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।
এই সময় তিনি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য আহ্বান জানান। অভিযানের সময় প্রশাসনের সাথে থাকা রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের সওে যেতে মাইকিং করছেন ।
জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে এসেছেন তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে যারা এখনও সরে আসেননি তাদেরকে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে সরে আসার জন্য।
তিনি বলেন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনগণকে বোঝাচ্ছেন। যদি বোঝানোর পরও তারা যদি সরে না আসে তাহলে আইন প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা জনগণদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, রুমায় ৬টি, থানচিতে ৩টি, আলীকদমে ১০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বাসস/সংবাদাতা/১৯২৫/একেএইচ