মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফিরোজ খাঁ’র রায় যেকোনো দিন

235

ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়ার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’র বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় প্রসিকিউশন ও আসমিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখে (সিএভি) রেখে আজ আদেশ দেয়। এটি হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩৯ তম রায়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ন।
আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) প্রসিকিউশনের ১৫ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষে কোনো সাফাই (ডিফেন্স) সাক্ষী ছিল না।
প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম সাংবাদিকদের বলেন চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে আজ শেষ হয়। মামলাটির রায় অপেক্ষমাণ রেখে ট্রাইব্যুনাল আজ আদেশ দেয়।
রাজশাহীর পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো.আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ মুক্তিযুদ্ধের আগে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। আসামি ফিরোজ খাঁ’র বিরুদ্ধে মামলায় মুক্তিযুদ্ধকালে চারজন সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসসহ ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি আসামি ফিরোজ খাঁ’কে গ্রেফতার করা হয়।