বাজিস-২ : হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী কুড়িগ্রামের মোন্নাফ

284

বাজিস-২
কড়িগ্রাম-হাঁসের খামার
হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী কুড়িগ্রামের মোন্নাফ
কুড়িগ্রাম, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের দরিদ্র আব্দুল মোন্নাফ হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে। ৬ বছর পূর্বে ধার দেনা করে প্রথমে ২০-২৫টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেন। এরপর মোন্নাফকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এভাবেই া শুরু হয় মোন্নাফ আলীর এগিয়ে চলার পথ।
বর্তমান তার খামারে এক হাজারেরও বেশি হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ডিম দেয় ২০০ থেকে ২৫০ টির মতো। প্রতিটি ডিম বাজারে পাইকারী হিসেবে ৮-৯ টাকা দরে প্রতিদিন মোট ডিম বিক্রি করেন ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া ৩-৪ মাস পর পর এক একটি পরিপক্ক হাঁস বাজারে বিক্রি করেন গড়ে ৩৫০ টাকায়।
মোন্নাফ জানান, তিনি হ্যাচারী থেকে হাঁসের বাচ্চা কিনে এনে খামারে পালন করেন। প্রতিটি হাঁস পরিপক্ক হতে খাদ্য ওষুধ বাবদ খরচ হয় ৯০-১০০ টাকা। মোন্নাফ বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর ধরে হাঁস পালন করে আসছি ,আর হাঁসের খামারের আয় থেকে বর্তমান গরু-ছাগল ও জমি কিনেছি এবং পরিবার- পরিজনকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বর্তমান দিনযাপন করে আসছি। অথচ ৫-৬ বছর পূর্বে অনাহারে-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কোন রকমে দু বেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পেরেছি।’
নাজিমখান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (নয়া) বলেন, ‘আব্দুল মোন্নাফের হাঁসের খামারটি অত্র এলাকার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি হাঁস পালন করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছে। তার এ হাঁসের খামার দেখে অত্র এলাকায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক হাঁসের খামার গড়ে তুলতে শুরু করেছে। এতে বেকারত্ব দূুর হবে এ প্রত্যাশা করছি।’ এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জোবাইদুল ইসলাম বলেন,‘খাল- বিল ও মৎস্য খামার হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। হাঁস পালনের উপযোগী পরিবেশের কারণে অনেকেই নিজ উদ্যোগে হাঁসের খামার গড়ে তুলে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছেন। আমরা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাঁস পালনকারীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।’
বাসস/সংবাদদাতা/১০৩২/নূসী