বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল

430

ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে আজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডে চলমান টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানের হতাশাজনক পরাজয় নিয়েই দেশে ফিরেছে টাইগাররা।
বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটাররাই আজ দেশে ফিরেছেন। সাকিব স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে ইউরোপ সফরের জন্য দলের সঙ্গে দেশে ফিরেননি। বাকি সদস্যরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ইংল্যান্ডে রয়েছেন।
নিজ দেশে পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে এদিন দলের সঙ্গেই ঢাকা পৌঁছেছেন দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। তবে অন্য কোচিং স্টাফরা পরিবারকে সময় দিতে নিজ নিজ দেশে চলে গেছেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচে জয়লাভ করলেও হেরেছে ৫টি ম্যাচে। শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি মাত্র ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টির কারণে। হারলেও বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তবে সেটি হয়নি শুধু ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে।
প্রধান কোচ স্টিভ রোডস সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই আমি বেশী হতাশ হয়েছি। তবে অন্য আটটি ম্যাচেই আমরা লড়াই করেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছি। যে কারণে সমাপ্তিটা আমাদের লজ্জিত করেছে।’
এদিকে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টুর্নামেন্টে দল প্রত্যাশ পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টাইগার অধিনায়ক। দেশে ফিরে বিমান বন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলনেতা হিসেবে ব্যর্থতার সব দায় আমার। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলেও এমনটিই করতো। গোটা বিশ্বেই আমার পারফর্মেন্স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটি হতেই পারে। তবে সামগ্রিক বিচারে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা অপেক্ষাকৃত ভাল পারফর্মেন্স করেছি।
তবে যে প্রত্যাশা আমাদের ছিল সেটি হয়নি। এ জন্য আমি হতাশ। বিশ্বকাপে আমি নিজের প্রত্যাশাও পূরণ করতে পারিনি। আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। সামিগ্রকভাবে আমাদের খেলার ধরণ দেখলে বুঝা যায় যে আমরা ইতিবাচক পথেই হাটছি। তবে দলের যে উচ্ছাসা ছিল সেটি পূরণ করতে পারিনি।’
ভাগ্যের কিছুটা সহায়তা পেলে দল ভিন্ন কিছু করে দেখাতে পারতো বলে মন্তব্য করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের সুযোগ ছিল। যে ম্যাচটি দিয়ে হয়তো আমরা সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে পারতাম। কিন্তু সাকিব ছাড়া বাকি সবার ব্যাটিং ও বোলিংয়ের ধারাবাহিকতায় ঘাটতি ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্যেরও সহায়াতর প্রয়োজন হয়। যেটি পাওয়া যায়নি। বৃষ্টির কারণে আমরা এক সপ্তাহ খেলতে পারিনি। যার সুযোগ নিয়েছে প্রতিপক্ষ।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে পাকিস্তানের কাছে হারটি দলকে অনেক নিচে নামিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, সবার ধারণা ছিল আমরা চতুর্থ স্থানে থাকতে পারব। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলে অন্তত তালিকার পঞ্চম স্থানে জায়গা হতো। কিন্তু এখন গোটা বিশ্বকাপই অর্থহীন হয়ে গেছে।’
চলতি মাসের শেষভাগে শ্রীলংকা সিরিজের আগে কিছুদিন বিশ্রামে কাটাবে জাতীয় দলের সদস্যরা।