বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে

222

বান্দরবান, ৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) – পাহাড়ে ভারী বর্ষণের কারণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা জনগণদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে এবং পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই জনগনকে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, রুমায় ৬টি, থানচিতে ৩টি, আলীকদমে ১০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
স্থানীয় ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলার পৌর এলাকাসহ জেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও জেলা শহরের ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, শেরে বাংলা নগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: জাকের হোসেন মজুমদার জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি আশ্রয়গ্রহীতাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবার, খিচুড়ি ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য এবং কন্ট্রোল রুম খোলার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনে জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যাতায়াত ঝুঁকির কারণে উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।