বাণিজ্যিক আইনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ মনোনিবেশ করবে : প্রধান বিচারপতি

287

ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা সহজে করতে বাণিজ্যিক সালিসি, চুক্তি এবং বাণিজ্যিক আইন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মনোনিবেশ করবে।
‘কমার্শিয়াল লিগ্যাল প্র্যাকটিস এন্ড রিসেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ‘-শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃায় প্রধান বিচারপতি আজ এ কথা বলেন। আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি ও বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি সুন্দীপ মুখার্জী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাণিজ্য একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মূল অংশ। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক লেনদেন অনেক কারণে উৎসাহ দেয় না। আইনজীবী এবং বিচারকদের দেশের বাণিজ্যিক আইন ও সর্বশেষ উন্নয়ন-এর সঙ্গে ভাল পরিচিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করার সহজতর উন্নতির জন্য ওয়ান-স্টপ সেবা অবিলম্বে চালু করার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাণিজ্যিক আইন প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থা বা সালিসি মাধ্যমে মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করা বাংলাদেশে অস্বীকার করা হয় না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও অর্থনৈতিক বিরোধের দৃঢ়তার মধ্যে আন্তজার্তিক আইনের সুযোগ ও গুরুত্বকে এখন বিস্তৃত করেছে। তিনি বলেন, বিশ্বের কোন অঞ্চলকে শিল্প বা কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপের সাথে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বাণিজ্যিক সালিসি প্রভাবের এলাকা থেকে আজকে বাদ দেয়া হয় না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাণিজ্যিক বিরোধগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমগুলির বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরে সালিসি বিষয়ে আইনের আধুনিকীকরণ এবং আপডেট করার জন্য সর্বদা চাহিদা ছিল। বাংলাদেশ পুরনো সালিসি আইন, ১৯৪০ বাতিল করে নতুন সালিসি আইন প্রনয়ন করে।
এ সেমিনার বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সালিসি, চুক্তি এবং চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে, বাংলাদেশে ব্যবসা সহজে এবং বাণিজ্যিক আইন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জগুলিতে মনোনিবেশ করবে বলে প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন।
বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আরবিট্রেশন প্রক্রিয়ায় আইনী কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব। আদালতে না যেয়েও বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব। তা স্থানীয় ও আন্তজার্তিক উভয়ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।