বাজিস-২ : খুলনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্প

201

বাজিস-২
খুলনা-প্রকল্প
খুলনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্প
খুলনা, জুলাই, ৬, ২০১৯ (বাসস) : প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গরীব জনগণের জীবনমান উন্নয়নে খুলনা মহানগরীতে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে।
ইউএনডিপির ব্যবস্থাপনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭ সালের নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ৪০ হাজার এবং ২০০৯ সালের মে মাসে আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের ১৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত দুর্যোগ সমূহের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙ্গনের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করছে। এ অবস্থায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করেছে কর্পোরেশন।
সূত্রটি জানায়, গত আগষ্ট মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর সেপ্টেম্বর মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প সমাপ্ত হবে ২০২৩ সালের জুন মাসে। ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দরিদ্র মানুষের মধ্যে কমিউনিটি সংগঠন তৈরী ও কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, বসত বাড়ি নির্মাণ, ঋণ প্রদান, জলবায়ু সহিঞ্চু অবকাঠামো নির্মাণ, পুষ্ঠি ও স্বাস্থ্য কার্যক্রম ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্যে শিক্ষা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা প্রদান। এই সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় প্রথম থেকে ৪র্থ শ্রেণী শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ৮শ’ টাকা, পঞ্চম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার ৮শ’ টাকা, ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণীর মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা ও ব্যবসা সহায়তায় ৭ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া শিক্ষা দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৩ মাসে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা ও ৬ মাসে ৯ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে। রকেট সার্ভিসের মাধ্যমে এসব অর্থ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের সদস্য সচিব ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির-উল-জব্বার বলেন, সরকারী, ইউকেএইড, ইউএনডিপি-এর অর্থায়নে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দারিদ্র অনেকাংশে কমে আসবে, পরিবেশ উন্নত হবে, বস্তির বাসিন্দাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।
বাসস/জেডএইচ/১৫০৫/একেএইচ