বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (চতুর্থ ও শেষ কিস্তি) : রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে ঢাকা-বেইজিং মতৈক্য

531

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (চতুর্থ ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-জিনপিং
রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে ঢাকা-বেইজিং মতৈক্য

চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকালে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে দু’দেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। তিনি এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শেখ হাসিনা এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করণে সময় মতো তহবিল ছাড়ে ঋণ চুক্তির শর্তাবলী সহজ করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানান। জবাবে জিনপিং বলেন, এ ব্যাপারে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিপরীতে বিশাল বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে চীনা কোম্পানিগুলোর উচিত আমাদের দেশে বিনিয়োগ করা। বাংলাদেশে চীনের কোম্পানিগুলোর জন্য দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের উদ্যোক্তারা অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে।
জবাবে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন এবং বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে তারা চীনের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছেন।
শহীদুল হক বলেন, প্রেসিডেন্ট জিনপিং মুক্তবাণিজ্য, বহুজাতিক বাণিজ্য, ব্যবসাভিত্তিক নিয়মকানুন এবং ডব্লিউটিও’র কার্যকরীতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, ক্লাইমেট এডাপশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং তিস্তা রিভার কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট এন্ড রেস্টুরেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
জবাবে চীনের প্রেসিডেন্ট ক্লাইমেন্ট এডাপশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার এবং তিস্তা রিভার কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট এন্ড রেস্টুরেশন প্রজেক্টে চীনের আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা বিবেচনার আশ্বাস দেন।
শহীদুল হক বলেন, উভয় পক্ষ জাতিসংঘে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। এ করিডোর চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের জন্য একটি নতুন বাজার উন্মুক্ত করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চেয়ারপার্সন অব ন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার্স সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এবিএইচ/২৩৫০/মমআ/-এবিএইচ