বাসস দেশ-৮ : আগামী পাঁচ বছর লবণ চাষীদের বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হবে : নুরুল মজিদ হুমায়ুন

148

বাসস দেশ-৮
শিল্পমন্ত্রী-লবণ-সুরক্ষা
আগামী পাঁচ বছর লবণ চাষীদের বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হবে : নুরুল মজিদ হুমায়ুন
ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশের প্রান্তিক লবণ চাষীদের আগামী পাঁচ বছর বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হবে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে লবণ আমদানির নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আজ কক্সবাজারে হোটেল লং বীচে ‘লবণ চাষ ও আয়োডিনযুক্তকরণ ঃ সার্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ নিউট্রিশন অফিসার পিয়ালী মুস্তাফী। সংস্থার নিউট্রিশন অফিসার ডা. আইরিন আখতার চৌধুরী কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশীয় শিল্পসমূহ রক্ষায় অত্যন্ত তৎপর। লবণ চাষীদের রক্ষা করা হলে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে। ধানের মত লবণ চাষীদের নিকট হতে সরকার কর্তৃক সরাসরি লবণ ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সভাপতির বক্তৃতায় বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান বলেন, ইউনিসেফের কারিগরী সহায়তায় লবণ চাষের নতুন প্রযুক্তি সব লবণ চাষীর মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে লবণের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।
তিনি বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে চাষীদের রক্ষার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লবণ নিয়ে একজন পরিচালকের নেতৃত্বে পৃথক একটি বিভাগ খোলার একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিসিক চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম ও ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ লবণচাষী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কায়সার ইদ্রিস, কক্সবাজার জেলা লবণ মহাল কমিটির সভাপতি রহিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা লবণ মালিক সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির প্রমুখ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, চাষী পর্যায়ে লবণের বিক্রয় মূল্য মাত্র চার থেকে পাঁচ টাকা যা অত্যন্ত কম। চাষীদের রক্ষার্থে এই দাম বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য লবণ আমদানি না করে দেশীয় লবণ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, বড় বড় শিল্প-কারখানাগুলোকে দেশি লবণ ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। তারা বলেন, সবার জন্য খাবার লবণে আয়োডিন নিশ্চিত করতে বাজারে খোলা লবণ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
বাসস/সবি/এমএন/১৭১৪/-আসচৌ