বাসস দেশ-১৭ : নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলাও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে

130

বাসস দেশ-১৭
অভিযোগপত্র- ট্রাইব্যুনাল-প্রেরণ
নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলাও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
ফেনী, ৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস): ফেনীর সোনাগাজীর সিনিয়ার ফাযিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চার্জশীট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলাটি বিচারের জন্য ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত শুনানী শেষে এই সিদ্ধান্ত দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মামলার একমাত্র আসামী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে অভিযুক্ত করে বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ২৭ মার্চ সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় কৌশলে তাকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৮১০/এসই