বাসস ক্রীড়া-১ : চিলিকে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরু, প্রতিপক্ষ ব্রাজিল

136

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-কোপা আমেরিকা
চিলিকে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরু, প্রতিপক্ষ ব্রাজিল
পোর্তো আলেগ্রে, ৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেছে চিলি। ৪৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত চিলি কোপার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো।
এডিসন ফ্লোরেস, ইয়োশিমার ইয়োতুন ও পাওলো গুয়েরেরো গোলে পেরুর জয় নিশ্চিত হয়। রোববার ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে পেরু।
২০১৫ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মত শিরোপা জয়ের মিশনে খেলতে নামা চিলির সোনালী প্রজন্মকে পরাজিত করাটা ছিল পেরুর জন্য এবারের আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন। ফাইনালে পরিবর্তে আগের দুইবারের ফাইনালিস্ট দুই দল চিলি ও আর্জেন্টিনা শনিবার সাও পাওলোতে তৃতীয় স্থানী নির্ধারনী ম্যাচে মাঠে নামবে।
অথচ ব্রাজিলের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া পেরুর গ্রুপ পর্বটা মোটেই ভাল কাটেনি। কিন্তু কালকের দিনটি পুরোটাই ছিল পেরুর দখলে। তিনবার ভিএআর’র সহায়তায় রক্ষা পেয়ে তারা চিলিকে পরাজিত করে। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে পরাজিত করেছিল তারা। পোর্তো আলেগ্রেতে সম্পূর্ণ অন্য এক পেরুকে কাল দেখা গেছে।
কালকের ম্যাচের গোলতাদা ইয়োতান বলেছেন, ‘পেরু তাদের সঠিক পথে ফিরে গেছে। আজকের ম্যাচের ফলাফল তারই প্রমান। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটা অবশ্যই কঠিন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন ম্যাচ। ফাইনালে সকলেই জেতার জন্যই মাঠে নামে। শিরোপা জিততে হলে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গোলরক্ষক পেড্রো গালেসে ব্রাজিলের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও আরো একবার নিজেকে দারুনভাবে প্রমাণ করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি লুইস সুয়ারেজের পেনাল্টি আটকে দিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। কালও তিনি পেনাল্টি সেভ করা ছাড়াও আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলকে রক্ষা করেছেন।
চিলি অধিনায়ক গ্যারি মেডেল বলেছেন, ‘এটা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত হতাশার। কারণ, আমরা শিরোপার জন্যই লড়াইয়ে নেমেছিলাম। পেরু আজ দুর্দান্ত খেলেছে, আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা পরিশ্রম করেছে, ফাইনালে যাওয়াটা তাদের প্রাপ্য ছিল।’
ম্যাচের শুরু থেকেই পেরু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। দুই মিনিটের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান কুয়েভা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। সাত মিনিটে চিলির চার্লস আরানগুইজ এ্যালেক্সিস সানচেজের সহায়তায় গোলের সুযোগ পেলেও তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিটে কুয়েভার ক্রস থেকে আন্দ্রে কারিলোর ফ্লিকে গোল করে পেরুকে এগিয়ে দেন ফ্লোরেস। ৩৮ মিনিটে কারিলোর সহযোগিতায় ইয়োটান ঠান্ডা মাথায় চারজন ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে লো ভলিতে বল জালে জড়ান। বিরতির মিনিটখানেক আগে হোসে ফুয়েনজালডিয়ার ভলি এক হাতে রক্ষা করেন গালেসে।
বিরতির পর মাঠে ফিরে এসে চিলি গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে। ৫১ মিনিটে এডুয়ার্ডো ভারগাসের ফ্লিক গালেসেকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লেগে ফেরত আসে। কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ইয়োটান দ্বিতীয় গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। কিছুক্ষন পর পেরু কিছুটা নীচে নেমে খেলে চিলিকে আক্রমনের জন্য আমন্ত্রন জানাতে থাকে। এসময় চিলির বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গালেসে। তবে ইনজুরি টাইমে গুয়েরেরোর গোলে চিলির পরাজয়ের ব্যবধান আরো বড় হয়েছে। ইনজুরি টাইমের পাঁচ মিনিটে ভারগাসের পেনাল্টি রুখে দিয়ে চিলিকে আরো হতাশায় ডুবিয়েছেন গালেসে।
বাসস/নীহা/১৫৩৫/স্বব