বাজিস-৪ : ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে যশোরের প্রস্তুতিসভা

228

বাজিস-৪
যশোর-মুজিববর্ষ
‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে যশোরের প্রস্তুতিসভা
যশোর, ৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ’মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সাল জুড়ে যশোরে পালিত হবে নানা কর্মসূচি। সেই সাথে উন্নয়ন কার্যক্রমও চলবে। বছরের প্রথম দিন থেক্ইে থাকবে বর্ষটি পালনের সব আয়োজন। সরকারি বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা এবং বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হবে অনুষ্ঠানমালা। বৃহস্পতিবার কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি পেশ করেন। পরে আরো কিছু কর্মসূচি সংযোজন করা হয়। ২০২০ সালে জাতীয় সকল দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা ভাবনাকে প্রতিপাদ্য করে দিবসগুলো পালিত হবে।
অন্যসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আলোচনাসভা, ৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ সকল উপজেলায় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা উপলক্ষে ’ভাষা আন্দেলনে জাতির পিতার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনাসভা, ৭ মার্চে’ ঐতিহাসিক ভাষণ বিষয়ক আলোচনা সভা ও প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন, ১৮ থেকে ২০ মার্চ জেলা ও সকল উপজেলায় বিশ্বমঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনা, ১৭ মার্চে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন। এতে থাকবে শিশু সমাবেশ , রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।দিবসটি স্মরনে মসজিদসহ সকল ্উপাশনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, এবং শহরকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করণ, ২৫ মার্চ গণহত্যাদিবসে বাংলাদেশের সুচনালগ্ন ও বঙ্গবন্ধু সরকার শীর্ষক আলোচনা, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চে বাঙ্গালীর রাষ্ট্রচিন্তা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা, ১০ এপ্রিল প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠনের দিন স্মরণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাস্তবতা শীর্ষক আলোচনা, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস পালন, ১ মে ’শ্রমিকের ভাগ্যান্নয়নে জাতির পিতার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা,২৩ মে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুড়ি পদক প্রাপ্তির দিন উপলক্ষে আলোচনা, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বঙ্গবন্ধুর পরিবেশ ভাবণা বিষয়ক আলোচনা, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস পালন, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ভাবণা শীর্ষক আলোচনা, ২২ জুলাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড, কুখ্যাত, অবৈধ দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বিষয়ে আলোচনা, ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড শীর্ষক আলোচনা, ২৮ আগষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানীকরনে বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনা, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাজীবন শীর্ষক আলোচনা, ৩ নভেম্বর জেলা হত্যাদিবস, ৬ ডিসেম্বর ভারত কতৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি স্মরণে অনুষ্ঠান, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন। এছাড়াও বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন।
মত বিনিময় সভায় মতামত ব্যক্ত করেন মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, উপ প্রধান রবিউল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু, মোহাম্মদ আলী স্বপন, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধর কুমার দাস, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ, সাংবাদিক সাজ্জাদ গনি খাঁন রিমন, পূুজা পরিষদেরসাধারণ সম্পাদক যোগেস দত্ত প্রমুখ। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক নুরই আলম, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার এ এন এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত হেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অনিন্দিতা রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুল ইসলাম,জেলা সিনিয়ার তথ্য অফিসার এএসএম কবীরসহ সরকারের সকল দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ব্যক্তিরা আলোচক থাকবেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩৪০/নূসী