বাসস দেশ-২১ : পরিবেশ ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনতে কার্যকর প্রযুক্তি প্রয়োগ করুন : সেমিনারে বক্তারা

146

বাসস দেশ-২১
রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি – সেমিনার
পরিবেশ ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনতে কার্যকর প্রযুক্তি প্রয়োগ করুন : সেমিনারে বক্তারা
ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : যুক্তরাজ্যে আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা পরিবেশ ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কার্যকর প্রযুক্তি ও পদ্ধতি প্রয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে গত সোমবার (১জুলাই) অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ : বাংলাদেশ থেকে শিক্ষনীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তারা এ আহবান জানান।
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি ও ইন্টারন্যালশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে বক্তারা পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগেরও ভূয়সী প্রসংশা করেন।
এই সেমিনারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেমিনারে প্যানেলভুক্ত আলোচকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, আইসিসিসিএডি’র পরিচালক ড. সালেমুল হক এবং যুক্তরাজ্য সরকারের সাবেক প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর স্যার ডেবিট কিং।
রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির পরিচালক প্রফেসর জো স্মিথ এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
পরিবেশ কর্মীসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর ৩০০ শতাধিক দর্শক এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সুরক্ষায় শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
হাই কমিশনার বলেন পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই নগন্য, তারপরও বাংলাদেশ পরিবেশ ঝুঁকি মোকাবেলায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সবার আগে ‘‘ক্লাইমেট ফান্ড‘‘ প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন,এছাড়াও বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি চালু করে বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এদিক দিয়ে বাংলাদেশকে ‘কøাইমেট ক্রসেডার’ বলা যায়।
আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সাইদা মুনা তাসনীম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত বিভিন্ন দেশে সফলভাবে অনুসরণে পরিবেশ সচেতন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছর চার বিলিয়ন ডলারেরও বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ক্ষতি যাতে ক্রমান্বয়ে না বাড়ে সে জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।
তিনি বলেন,এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়া যায়। তবে পরিবেশের ঝুঁকি কোনো একটি দেশের পক্ষে একা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ জন্য সব দেশের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সাবের চৌধুরী মনে করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলো ইতোমধ্যেই বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে এবং বাংলাদেশকে অন্য দেশের সামনে একটি ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিণত করেছে।
ড.সালেমুল হক পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে বলেন, জ্বালানি কোম্পানিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি সবচে বেশি পরিবেশ দূষণ করছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন,বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
ডেভিড কিং বলেন পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে কোলকাতা হবে বিশ্বের প্রথম বাসযোগ্যহীন শহর। কাজেই প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের ঝুঁকি সংগত কারণেই অনেক বেশী।
তিনি পরিবেশ ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কার্যকর প্রযুক্তি ও পদ্ধতি প্রয়োগের আহবান জানান।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮২০/কেজিএ