বাজিস-৩ : তিন সেতু নির্মাণে সমৃদ্ধ হবে রোয়াংছড়ি-থানচির অর্থনীতি

172

বাজিস-৩
বান্দরবান-তিন সেতু
তিন সেতু নির্মাণে সমৃদ্ধ হবে রোয়াংছড়ি-থানচির অর্থনীতি
॥ সৈকত দাশ ॥
বান্দরবান, ২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলার রোয়াংছড়ি ও থানচিতে নির্মাণ হচ্ছে ৩ টি সেতু। এ তিন সেতু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বদলে যাবে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার কৃষি ও অর্থনৈতিক অবস্থা, উপকৃত হবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুন সাঙ্গু নদীর উপর তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা কমিশন। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া বাজার সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর উপর সেতু, থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজার সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর উপর সেতু এবং একই উপজেলার সোনাইখালের উপর জ্ঞান লাল পাড়ায় আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক অনুমোদন দেন ১৮ জুন। ২০১৯-২২ অর্থ বছরের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ তিন সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানা যায় ।
আরো জানা গেছে, রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া বাজার সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর উপর সেতুটি বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলা সড়কের সাথে বৈদ্যপাড়া, কাইন্তার মুখ ও পাগলাছড়া হয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। আর থানচি উপজেলার বলিবাজার সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর উপর সেতু থানচি-বান্দরবান সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে থানচি উপজেলা সদর-রুমার বগালেক সড়ক ও জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। সেতুর মাধ্যমে এক উপজেলার সাথে আরেক উপজেলার হবে সংযোগ। যার ফলে গতি আসবে পর্যটনে। জুমিয়ারা তার উৎপাদিত কৃষি পণ্য এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় সহজেই বহণ করে নিয়ে যেতে পারবে।
থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মার্মা বলেন, থানচিতে এ দুই সেতু নির্মাণের ফলে পাশ্ববর্তী উপজেলা রুমার বগালেক পর্যটনে অনাসয়ে যাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, এর ফলে পর্যটকের আগমণ বাড়বে।
কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম প্রধানরা জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নির্বাচনী অঙ্গিকার পূরণের অংশ হিসাবে সেতুগুলো নির্মাণে অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয়রা আনন্দ প্রকাশ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রুমা ও থানচি উপজেলায় আগে ২টি সাঙ্গু সেতু নির্মাণের ফলে দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন হবে। আর নতুন এ ৩টি সেতু নির্মাণের ফলে জেলার একসময়ের দূর্গম থানচি ও রোয়াংছড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকায় সহজে স্থানীয়রা যাতায়াত করতে পারবে, উপজেলাগুলোর পর্যটন উন্নয়নে সহায়ক হবে।
রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হ্লা থু হ্রি মার্মা জানান, সেতু না থাকায় এতদিন তারাছা এলাকার মানুষ বান্দরবান সদর হয়ে রোয়াংছড়িতে যেত। কিন্তু এ সেতু নির্মাণের ফলে এখন আর বান্দরবান সদর হয়ে রোয়াংছড়িতে যেতে হবে না, সেতু ব্যবহার করে সরাসরি রোয়াংছড়ি সদর যেতে পারবে। সেতুর ফলে কৃষক উৎপাদিত তার পণ্য খুব কম সময়ে রোয়াংছড়ি সদরে বিক্রি করতে পারবে ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন, তিন সেতুর কাজ খুব দ্রুতই শুরু করা হবে। সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে ওই উপজেলার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো ভালো হবে ।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩২৫/নুসী