সকল বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানসমূহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে : মোজাম্মেল হক

273

ঢাকা, ২৯ জুন, ২০১৯ (বাসস) : সকল বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানসমূহ সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার সকালে বেইলি রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর ৫ম জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথির উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, একই নকশায় সকল মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর তৈরি করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণের স্থান, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মিত্র বাহিনীর দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার স্থান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান মুজিব নগরকে মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অবদান অপরিসীম। স্বাধীনতার চেতনাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে যখন জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা তুলে দিয়েছে, সেই সময়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত সৃষ্টিতে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর তাঁরই সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশকে উন্নত সমৃদ্ধরূপে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) একেএম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব, ভাইস চেয়ারম্যান সেক্টর কমান্ডার লে কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে কনভেনশনের উদ্বোধন করেন এবং জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনভেনশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।