বাজিস-৩ : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে

223

বাজিস-৩
ভোলা-চরফ্যাশন-পর্যটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে
ভোলা, ২৯ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা পর্যটকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করছে। এখানকার সবুজের সমারহ, ও নানান স্থাপনা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসছে। জেলা শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূুরে অবস্থতি বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে থাকা এ জনপদ এখন পর্যটনের নগরী হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে জেলার সর্ব দক্ষিণের সবুজের ঘেরা এ উপজেলা আরো উন্নত হচ্ছে।
বিশেষ করে এখানকার দৃষ্টি নন্দন জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল ডিজিটাল শিশু পার্ক, খামার বাড়ি, বেতুয়া লঞ্চঘাট। এছাড়াও কুকরী-মুকরীতে রয়েছে সবুজের মিতালী সেখানে হরিণের ছোটাছুটি আর বাহারি বৃক্ষের সমারোহ। বার্ড ওয়াচ টাওয়ার আর রেস্ট হাউজ দেখে মন জুড়াবে ভ্রমন পিপাসুদের। পাখিদের কলোতান মুগ্ধ করে আগতদের। ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিতে এখানে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। মনোরম পরিবেশে নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য মন জুড়ায় দর্শনাথীদের। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে এখানে।
চরফ্যাশন উপজেলায় সদরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সর্বাধুনিক ২২৫ ফুট উচু ১৮ তলা বিশিষ্ট জ্যাকব টাওয়ার দেখতে মানুষের আগ্রহের যেন কমতি নেই। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ছুটে আসেন এখনে। এ টাওয়ারে লিপ্ট সুবিধা রয়েছে। টেলিস্কোপের মাধ্যমে আশপাশের নদী-সাগর-চরাঞ্চল-ম্যানগ্রোভ বন, আর লোকালয়ের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখা যায় এখান থেকে।
মার্কেট চত্বরে আরেক স্থাপনা শেখ রাসেল ডিজিটাল পার্ক। সেখানেও পর্যটকদের ভিড় পড়ে যায়। এছাড়াও জেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর পাড়ে নান্দনিক ফোয়ারাও মন জুড়ায় দর্শনাথীদের।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পর্যটন নগরী হিসেবে সাজিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলাকে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন এসব স্থাপনা দেখতে।
শুধু তাই নয়, সবুজের ঘেরা নান্দনিক খামার বাড়ি পর্যটন স্পটেও প্রকৃতির রয়েছে অপার সৌন্দর্য। নানা ভাবে সাজানো হয়েছে চরফ্যাশনকে। সবুজের দ্বীপ হিসাবে পরিচিত কুকরী-মুকরী দ্বীপের রয়েছে আরেক সৌন্দর্যের হাতছানি। বনে হরিণের ছুটাছুটি, সমুদ্র সৈকত , বালুর ধুম, শুটকি পল্লী, নারিকেল বাগান আর বাহারি বৃক্ষের সমারোহ রয়েছে সেখানে। পর্যটকদের জন্য একটি আধুনিক রেষ্ট হাউজ তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া ও হরিণ দেখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র। বার্ড ওয়াচ রয়েছে, সেখানে বসে পাখি ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো দেখা যাবে। প্রতি বছর ঈদের ছুটি এবং অন্যসব ছুটিতে মানুষ এসব সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন।
বাসস/এইচ এ এম/১১৪৫/নূসী