আওয়ামী সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

957

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে। দেশের জনগণ ইতোমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করেছে।
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ঢাকাস্থ নড়িয়া উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুণর্মিলনী ও আলোচনার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন প্রজন্মের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা সততা, দক্ষতা, মেধা ও অভিজ্ঞতায় অন্যদের চেয়ে সেরা। তাঁর মেধা শক্তির বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে।
তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি বাংলাদেশকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, ইতোমধ্যে তার অনেকটা বাস্তবায়ন হয়েছে এবং তিনি তা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিশনারী লিডার উল্লেখ করে এনামুল হক শামীম বলেন, তিনি যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন, সারাদেশেই আজ উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত মেঘা প্রজেক্ট-পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলি টানেল, পায়রা সমুদ্র বন্দর ইত্যাদির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ।
এ কে এম এনামুল হক শামীম তার সংসদীয় এলাকা নড়িয়া-শখিপুরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে এ পর্যন্ত ২৪ লাখ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এ উপজেলার বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানো, চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছানো এবং ৮শতাধিক রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত কাজ করা হচ্ছে।
ঢাকাস্থ নড়িয়া উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক মো: নূরে হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ ফারুক হোসেন শেখ, সাবেক বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশারফ আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা হক স্বপ্না, জোবায়দা হক অজন্তা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।