লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

603

লালমনিরহাট, ২৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা, ধরলা ও রত্নাইসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানির প্রবল তোড়ে বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে একটি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধরলার স্রোতে জেলা সদরের কুরল, বনগ্রাম, কর্ণপুর ও মোগলহাটে ব্যাপক নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। এদিকে তিস্তা নদীর উপকুলে জলবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার পরিবার।
বুধবার কুলাঘাট ইউপির ওয়াপদা বাজার এলাকার ৩০ মিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে চলে গেছে। দু’দিন অতিবাহিত হলেও পানির স্রোতের কারণে সড়কটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলা নদীর পানিও বেড়ে যায়। গত বুধবার সড়কটির অন্তত ৩০ মিটার অংশ ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
চর শিবের কুঠি গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিন, গফুর মিয়া ও আলতাফ হোসেন বলেন, এমনিতেই ‘এখন বর্ষাকাল, চলাচলের অনেক সমস্যা। তার ওপর রাস্তার কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা সম্ভব না হলে আমাদের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে’।
সওজের লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়েন বলেন, সড়কটি এই মুহূর্তে স্থায়ীভাবে পুনর্নিমাণ করা সম্ভব নয়। তবে চলাচলের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে সড়কটির দুই পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে সেখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। এ কাজ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
এদিকে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ধরলা নদীর দ্বীপচর ফলিমারীতে ৪শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী লোকজনের খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।