বাসস ক্রীড়া-১৭ : কোহলি-ধোনির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান

265

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কোহলি-ধোনির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান
ম্যানচেষ্টার, ২৭ জুন ২০১৯ (বাসস) : অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সাবেক দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে দ্বাদশ বিশ্বকাপের ৩৪তম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করেছে ভারত। কোহলি ৭২ রানে আউট হলেও ও ধোনি ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
ম্যানচেষ্টারে টস জিতে প্রমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক কোহলি। এ ম্যাচে ভালো শুরু করতে পারেনি ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪০ রানের ইনিংসের পর আফগানিস্তানের সাথে মাত্র ১ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এ ম্যাচে ভালো শুরু করেও ১৮ রানে থেমে যান রোহিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ছোট ইনিংসটি খেলেন রোহিত।
এরপর আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলের সাথে উইকেটে যোগ দেন অধিনায়ক কোহলি। দেখেশুনে খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের বিপক্ষে রান আদায় করে নিচ্ছিলেন তারা। এই জুটির কল্যাণে শতরানের খুব কাছে পৌঁছে যায় ভারত। তবে দলীয় স্কোর শতরান থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে বিচ্ছিন্ন হন রাহুল-কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে থামেন রাহুল। তার ৬৪ বলের ইনিংসে ৬টি চার ছিলো। কোহলির সাথে ৬৯ রান যোগ করেন রাহুল।
রাহুল ব্যর্থ হলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ও এবারের আসরে টানা চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন কোহলি। কোহলির হাফ-সেঞ্চুরির মাঝেই দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান বিজয় শঙ্কর ও কেদার যাদব দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরেন। বিজয় ১৪ ও কেদার ৭ রান করে ফিরেন। দু’জনই শিকার হয়েছেন রোচের। এরপর রোহতিকেও বিদায় দিয়েছিলেন তিনি।
১৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ধোনিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন কোহলি। কিন্তু একতে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। এই জুটিকে দলীয় ১৮০ রানে থামিয়ে দেন হোল্ডার। ৮২ বলে ৮টি চারে ৭২ রান করা কোহলিকে শিকার বানান হোল্ডার। তবে এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দ্রুত ৪১৭তম ইনিংসে ২০হাজার পূর্ণ করেন কোহলি।
৩৮ দশমিক ২ ওভারে কোহলির বিদায়ের পর ভারতের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। তবে সপ্তম উইকেটে জুটি বেধে ভারতকে লড়াই করার পুঁিজ এনে দেয়ার লড়াই শুরু করেন ধোনি ও হার্ডিক পান্ডিয়া। শুরুতে সর্তক থাকলেও, সময় গড়ানোর সাথে সাথে মারমুখী হতে থাকেন পান্ডিয়া। অপরদিকে, পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক দেয়ার চেষ্টা করছিলেন ধোনি।
তাই পান্ডিয়ার ব্যাটিং-এ আড়াইশ রানের কোটা স্পর্শ করে ভারত। আর ঐ স্কোরেই থেমে যান পান্ডিয়া। শেলডন কটরেলের শিকার হবার আগে ৩৮ বলে ৫টি চারে ৪৬ রানে মারমুখী ইনিংস খেলেন পান্ডিয়া।
৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পান্ডিয়া ও পঞ্চম বলে মোহাম্মদ সামিকে তুলে নেন কটরেল। ফলে ৪৯তম ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিলো ৭ উইকেটে ২৫২ রান। তবে শেষ ওভারে জ্বলে ওঠেন ধোনি। নিজে স্ট্রাইক নিয়ে পেসার ওশান থমাসের শেষ ওভারে ২টি ছক্কা ও ১ চারে ১৬ রান নেন ধোনি। ফলে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। শেষ ওভারের মারমুখী ব্যাটিং-এ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭২তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন ধোনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৩৬ রানে ৩টি ও কটরেল-হোল্ডার ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (টস-ভারত)
ভারত : ২৬৮/৭, ৫০ ওভার (কোহলি ৭২, ধোনি ৫৬, রাহুল ৪৮, পান্ডিয়া ৪৬, রোচ ৩/৩৬)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯৫০/স্বব