বাসস সংসদ-৬ : শেখ হাসিনা একটি ডুবন্ত জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনেছেন : সরকারি দল

178

বাসস সংসদ-৬
বাজেট-আলোচনা -২
শেখ হাসিনা একটি ডুবন্ত জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনেছেন : সরকারি দল
সংসদ ভবন, ২৭ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে প্রায় একটি ডুবন্ত জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনে উন্নত-সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করছেন।
তারা বলেন, গত ১০ বছরের ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালে মধ্যম আয় ও ’৪১ সালের আগেই দেশ একটি উন্নত দেশে উন্নীত হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেল ১০ টা ৩৫ মিনিটে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন শেষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। এর পর বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে সংসদের বৈঠক বিকেল ৩টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। মুলতবির পর ৩টা ০৮ মিনিটে পুনরায় অধিবেশন শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
গত ১৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ,হ.ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনার ৯ম দিনে আজ বেলা ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচাযর্, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সরকারি দলের আ. ফ. ম রুহুল হক, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মাহবুব উল আলম হানিফ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আমিন, নেসার আহমেদ, মকবুল হোসেন, হাবিবুর রহমান, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আবদুল মোমেন মন্ডল, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, মোসলেম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, আবদুল আজিজ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, ফরিদা খানম, শবনম জাহান, বেগম নাদিরা ইয়াসমিন ডলি, শামীমা আক্তার খানম বেগম নাহিদ ইজাহার খান, বাসন্তী চাকমা, হাবিবা রহমান খান জিন্নাতুল বাকিয়া, বেগম মমতা হেনা লাভলী গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, ও জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মজিবুল হক চুন্নু ও বিকল্প ধারার আবদুল মান্নান আলোচনায় অংশ নেন।
বিকেলের বৈঠকে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন করে। অপর দিকে হাওয়া ভবনে অঘোষিত বিকল্প সরকার গঠন করেন তারেক রহমান। এই হাওয়া ভবন থেকে সারা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রশাসন সবকিছু পরিচালিত হতো। এই হাওয়া ভবনের কারণে দেশে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্য সংকট, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে আসে, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যায়, দুর্বৃত্তায়নের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়। হাওয়া ভবনের কমিশন বাণিজ্যের কারণে স্যামসাং, টাটা কোম্পানীসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান এদেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হয়।
তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানুল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করে। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই অবস্থা থেকে উঠে এসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। রপ্তানী আয় বেড়েছে, দারিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে, রিজার্ভ ও রেমিটেন্স বেড়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, খাদ্যে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, সমুদ্র সীমানা ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে, মহাকাশে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ এখন একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নু সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের সমমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তারা সব সুবিধাই ভোগ করছেন, আবার অবৈধ বলছেন, এটা কেমন কথা। এছাড়া তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন।
তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রসহ কয়েকটি খাতে আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহরের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এ বাজেট কোনো ভাবেই বিশাল নয়। বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে আরো বিশাল বাজেট দেয়ার দরকার। প্রস্তাবিত বাজেট পুরোপুরো বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাসস/এমআর/এমএইচএস/১৮১৫/-অমি