রাষ্ট্রপতির কাছে দুই দূতের পরিচয়পত্র পেশ

389

ঢাকা, ২৫ জুন, ২০১৯ (বাসস) : থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ও ব্রুনেইয়ের হাইকমিশনার আজ বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র প্রদান করেছেন।
এই দুজন আবাসিক দূত হলেন- থাইল্যান্ডের আরুনরং ফোথং হামফ্রেইস ও ব্রুনেইয়ের হাজী হারিস বিন ওসমান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেন, রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাগত আশা প্রকাশ করেন যে, এই দুই দূতের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সাথে দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
থাই রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দিন দিন তা আরো জোরদার হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ এই বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত রোহিঙ্গাদের পুনরায় নিরাপদে তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনে প্রচারণা জোরদার করতে থাই সরকার অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
পরে, ব্রুনাইয়ের হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠককালে আব্দুল হামিদ বলেন, ব্রুনাইয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সব সময় বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপতি এ সময় বন্ধুপ্রতিম দেশ দুটির মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রুনাই সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সফর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতা পাবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতি ব্রুনেই সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত দ্রব্যসহ বাংলাদেশের অনেক পণ্য বিশ্বমানের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দূতের প্রতি আহ্বান জানান।
উভয় দূতই বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকশ অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।