ভবিষ্যতে বাংলাদেশ মোবাইল এপ্লিকেশন বিশ্ববাজারে প্রবেশ করবে : সেমিনারে বক্তারা

487

ঢাকা, ২৫ জুন, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা ভবিষ্যতে মোবাইল এপ্লিকেশন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে পারবে বলে দৃড় আশা ব্যক্ত করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কম্পিউটার কৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এবং ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এই আশা ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিনল্যান্ডের হেনসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল এপস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট প্রকৌশলী মেজবাহুল ইসলাম এবং ফিনল্যান্ডের হেনসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ল স্পেশালিষ্ট ড. শাকিলা-বু-পাশা।
অনুষ্ঠানে আইইবি’র কম্পিউটারকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রনক আহসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, আইইবি’র কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
আইইবি প্রেসিডেন্ট আবদুস সবুর বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনায় রয়েছে। মোবাইল এ্যাপস ব্যবহার করে আমরা ট্যাক্সি ডাকছি, বাজার করছি, বিভিন্ন বিষয়ে আবেদনের ফরম এ্যাপস-এর মাধ্যমে পূরণ করছি। ট্রেন, বাস এমনকি সিনেমার টিকেটও এ্যাপসের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে আমার দিনদিন অভ্যস্ত হচ্ছি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এঁই নেতা বলেন, আর ফেসবুক, ইউটিউিব তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিলিয়ন ডলারের অ্যাপস বাজারে বাংলাদেশি অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইতিমধ্যে ৩১ হাজার ৯৩০ জন আইটি প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল তৈরি করেছে সরকার।
আইইবি’র প্রেসিডেন্ট বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ওপর দেশব্যাপী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ ইতিমধ্যে মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন-এর দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প চালু রয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত হবে অ্যাপস ডেভলমেন্টের এই বিশাল মার্কেটকে কাজে লাগানো এবং দেশের নতুন নতুন ডেভেলপারদের জন্য উন্নততর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ভবিষ্যতে আমাদেও দেশের এই অ্যাপ ডেভলপাররা বিদেশের মার্কেটপ্লেসে জায়গা কওে নেবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে বলে তিনি দৃড় আশা প্রকাশ করেন।