বাজেটের ১৪.২১ শতাংশ সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ : পরিকল্পনামন্ত্রী

352

সংসদ ভবন, ২৪ জুন, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ সমাজে সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা জিডিপির ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য আনোয়ারুল আজীমের (আনার) এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা উন্নীত করে সামাজিক সুরক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ গুণ বাড়িয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এটি ছিল ৬৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সমাজের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে সরকার দারিদ্র বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মনে করে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর লক্ষ্য হচ্ছে চরম দরিদ্র জনগণের জীবনের ঝুঁকিগুলো মোকাবিলার মাধ্যমে তাদেরকে চরম দারিদ্রের বলয় থেকে মুক্ত করা।
এম এ মান্নান বলেন, তুলনামূলকভাবে অতিদারিদ্র্যপীড়িত এলাকাসহ সারাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ৮ লাখ মানুষের ৮০ দিনের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৯টি পরিবারকে নিজ জমিতে গৃহনির্মাণের জন্যে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ, অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে সরকার দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার ও কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন প্রকল্প কাজ এগিয়ে চলছে।