ইংল্যান্ডকে পরাজিত করা কঠিন হবে : ল্যাঙ্গার

280

লন্ডন, ২৪ জুন ২০১৯ (বাসস) : শ্রীলংকার বিপক্ষে হতাশাজনক পরাজয়ের পরও ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপে পরাজিত করা কঠিন হবেই বলেই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট হারায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এরপর টানা তিনটি ম্যাচে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে পথে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ইংলিশরা। কিন্তু হেডিংলিতে খর্ব শক্তির শ্রীলংকার কাছে ২০ রানে পরাজিত হওয়ায় হঠাৎ করেই বিশ্বকাপের সমীকরণ কিছুটা হলেও পাল্টে গেছে।
আগামীকাল লর্ডসে চির প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র ভারতের কাছে পরাজিত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ৬ ম্যাচে পাঁচটিতেই জয়ী হয়ে দারুন ছন্দে রয়েছে।
যদিও ল্যাঙ্গার বিশ্বাস করেন বর্তমানে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পর্যায়ে থাকার সব যোগ্যতা ইংল্যান্ডের রয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেই এবারের আসর শুরু করেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘তারা এখন বিশ্বের সেরা দল। তাদের দিকে তাকালেই দেখা যাবে এই এক সপ্তাহে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। মঙ্গলবার লর্ডসের ম্যাচটির জন্য অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছেনা। বিশ্বকাপ শুরু হবার আগে থেকেই যে কয়টি ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম কালকের ম্যাচটি তার মধ্যে অন্যতম।’
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় কাউন্টি দল সামারসেটের সাথে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ল্যাঙ্গারের দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। এখানেই তিনি তরুন জস বাটলারের সাথে প্রথম পরিচিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক বাটলার এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন। ভারতীয় অভিজ্ঞ তারকা এমএস ধোনীর যোগ্য উত্তরসূরী বিবেচনায় একাধারে উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে ল্যাঙ্গার বাটলারকে মনোনীত করতে ভুল করেননি। এ সম্পর্কে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘জস একজন অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। আমি তার ব্যাটিং খুব উপভোগ করি। সে বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন ধোনী। অবশ্যই আশা করবো কালকের ম্যাচে সে যেন শুণ্য রানে ফিরে যায়। সামারসেটে আমি তাকে দেখেছি। সে একজন অসাধারন এ্যাথলেট ও অবিশ্বাস্য ফিনিশার। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী। আমাদের অবশ্যই এ ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
যদিও অস্ট্রেলিয়া দলেও বেশ কয়েকজন ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান আছে। বিশেষ করে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে আলাদ করে ইংল্যান্ডকে ভাবতেই হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৬ ইনিংস ৪৪৭ রান নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ রানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বল টেম্পারিংয়ের কারনে দীর্ঘ এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর ওয়ার্নার ও সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বিশ্বকাপের শুরুতে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রমান করেছেন। স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছিল অনবদ্য একটি সেঞ্চুরি।
লর্ডসে ঐতিহ্যগত ভাবেই সমর্থকদের মধ্যে বেশ ভদ্র মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়। কালকের ম্যাচেও তেমন কিছুই প্রত্যাশা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘অবশ্যই সে ধরনেরই কিছু আশা করছি। যদিও সমর্থক কিংবা প্রতিপক্ষের উপর আমাদের কোন হাত নেই। আমরা শুধুমাত্র নিজেদের ম্যাচের দিকেই মনোযোগী হতে চাই।