পিরোজপুরে নতুন করে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে

242

পিরোজপুর, ২৪ জুন, ২০১৯ (বাসস) : উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে নতুন করে আরও ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরেই শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারে প্রাকৃতিক দুূর্যোগের সময় প্রায় অর্ধ লক্ষ নারী পুরুষ শিশু আশ্রয় নিতে পারবে।
এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আলোর জন্য সোলার সিষ্টেম, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা থাকছে। এছাড়া দুূর্যোগ বিহীণ সময় এসব ভবণে বিদ্যালয় পরিচালিত হবে। ৩ তলা, কোনটি ৪ তলা এসব ভবণের নিচে দুূর্যোগ চলাকালীন সময় স্থানীয়দের গবাদি পশু রাখার সুব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থয়নে এসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত হবে বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জণ রায় বাসসকে জানান।
জেলার দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা মঠবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশী ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া জেলার অন্য ৬ উপজেলায় ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি চ’ড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এপর্যন্ত এ জেলায় প্রায় ৩ শত ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে ১শত ১০টি ঘূর্র্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ৬টি সুউচ্চ মাটির কেল্লা নির্মাণ করেছে। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার সড়ক ও তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত কমিটি এসব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের স্থান চ’ড়ান্ত করে থাকে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সুপার সাইক্লোন সিডর এর তান্ডবে এ জেলায় ৬ শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাঠের ফসল, গবাদিপশু সবকিছু মাত্র কয়েক ঘন্টার ঝড়ে ও জলোচ্ছাসে শেষ হয়েছিল। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় এসব প্রাণহানী ঘটে। এখন বর্তমান সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করায় প্রাণ ও সম্পদ হাণীর ঘটনা আর ঘটবেনা বলে এলাকার মানুষ আশা প্রকাশ করেছে।