পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩০৮/৭

1468

লন্ডন, ২৩ জুন, ২০১৯ (বাসস): টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০৯ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। লর্ডসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেটে করেছে ৩০৮ রান। ফলে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ৩০৯ রান। এই ম্যাচে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে যে কোন দলের। তবে বাচা-মরার ম্যাচে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টার্গেটা ঠিকই বড় দিতে পেরেছে পাকিস্তান। হারিস সোহেল আর বাবর আজমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই স্কোরটা বড় করে দলটি। লর্ডসে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের ভালো ভাবেই সামলেছেন দু-ওপেনার ইমাম উল হক-ফখর জামান জুটি। এই জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই পাকিস্তান পৌছে যায় ৮১ রানে। ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বল মোকাবেলায় ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে ইমরান তাহিরের শিকার হন ফখর জামান। বিদায়ে ভাংগে ওপেনিং জুটি। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম প্রথম থেকেই দলকে এগিয়ে নেয়ার চেস্টা করেছেন। সফলও হয়েছেন। অবশ্য দলীয় ৯৮ রানে পাকিস্তান হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এবার অপর ওপেনার ইমাম উল হককেও বিদায় করেন ইমরান তাহির। ইমরান তাহিরের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ইমাম ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৪৪ রান। ইমামকে বিদায় করতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরলেন ইমরান তাহির নিজেই। নিজের বলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উইকেটের ওপর এক হাতে বলটি তালুবন্দী করেন এই স্পিনার। ইমামকে ফিরিয়ে একটি রেকর্ড গড়েছেন তাহির। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন তিনি। ৩৯ উইকেট নিয়ে পেছনে ফেলেছেন অ্যালান ডোনাল্ডকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৩৭ উইকেট ছিল তাহিরের। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ ও ৬ ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সেবা বোলাররা যখন উইকেট নিতে ব্যর্থ ছিলেন সেখানে ইমরান তাহিরকে দিয়েই প্রথম সফল হন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। কারণ ইমরান তাহির বল করতে এসেই ফেরালেন দুই ওপেনারকে। দলের শতরানের আগে দুই ওপেনারকে হারালেও মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেস্টা করেন বাবর আজম। অবশ্য হাফিজ তার ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। পারেননি বেশি সময় টিকে থেকে দলকে এগিয়ে নিতে। দলীয় ১৪৩ রানে আইডেন মার্করামের বলে এলবি আউট হন হাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে এক ছক্কায় তিনি করেন ২০ রান। হাফিজের বিদায়ের পর বাবর আজমের সাথে ব্যাট করতে নেমে দলকে ঠিকই এগিয়ে নেন হারিস সোহেল। এই জুটিই পাকিস্তানকে বড় স্কোরের পথে নিয়ে যায়। জুটিতে ৮১ রান আসার পর দলীয় ২২৪ রানে ভাঙ্গে জুটি। বাবর আজমকে লুঙ্গি এনগিডির ক্যাচ বানিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠা এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন ফেলুকুয়াও। আউট হওয়ার আগে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ৮০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। বিশ্বকাপে বাবরের এটা দ্বিতীয় ফিফটি। বাবর আজমের বিদায়ে ব্যাট করতে নেমে ইমাদ ওয়াসিম শুরুটা করেছিলেন ঝড়ের বেগেই। কিন্তু টিকতে পারলেননা বেশি সময়। মাত্র ১৫ বলে খেলে ৩ চারে ২৩ রান করার পর এনগিডির বলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে তিন শত রানের আগেই পাকিস্তান হারায় ৫ উইকেট। তবে ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে দলের স্কোরটা তিনশত রানের কোটায় নিয়ে যান হারিস সোহেল। দলীয় ৩০৪ রানে মাত্র ৪ রান করে এনগিডির বলে বোল্ড হন ওয়াহাব রিয়াদ। আর দলকে ৩০৭ রানে পৌছে আউট হন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা হারিস সোহেল। হারিস সোহেলকেও বিদায় করেন এনগিডি। তবে আউট হওয়ার আগে ৮৯ রানের এক অসাধারন ইনিংস খেলেন হারিস। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি তুলে নেন প্রথম ফিফটি। মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। তার ব্যাটে ভর করে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এনগিডি তিনটি আর ইমরান তাহির নেন দুটি উইকেট।