বাসস সংসদ-৭ : মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ গঠিত হয়

350

বাসস সংসদ-৭
আলোচনা-আওয়ামী লীগ
মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ গঠিত হয়
সংসদ ভবন, ২৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সিনিয়র সদস্যরা আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, দেশ গঠনে দলের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ইতিহাস তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলের মূল নেতৃত্বের অন্যতম একজন ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল এদেশের মানুষের মুক্তি। তিনি এদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তিনি যখন কাজ করছিলেন তখন তাঁকে হত্যা করা হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আমরা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব নেতৃত্বে নিজেকে এক অনন্য অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর উন্নয়নের ধারা সারা বিশ্বকে আলোড়িত করেছে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের যা প্রাপ্তি তা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসেছে। বিকল্প কোন দল, নেতা বা সরকার দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারেনি। কারণ সেই সমস্ত সরকারগুলো এদেশের মানুষের সরকার ছিল না। এরা ছিল তল্পীবাহক সরকার। পাকিস্তান আমলে যে সরকার ছিল এরা ছিল পাকিস্তানের তল্পীবাহক, বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছিল এরাও ছিল পাকিস্তানের তল্পীবাহক।
সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজুলল করিম সেলিম বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-প্রতিটি ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। আর এই সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুই প্রথম গ্রেফতার হন। এর আগে ভাষা আন্দোলনে কেউ গ্রেফতার হননি। জেলে থেকেও তিনি ভাষার জন্য অনশন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যখন সালাম, বরকতরা শহীদ হন, তখন বঙ্গবন্ধু জেলে অনশন করছিলেন।
শেখ ফজুলল করিম সেলিম বলেন, ‘মোশতাক-জিয়া রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলো বলেই তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়।’
তিনি বলেন,বাংলাদেশের নামটাও বঙ্গবন্ধু নিজে দিয়ে জনগণকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি দেশকে বিশ্বের দরবারে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাকি কাজ তিনি বাস্তবায়ন করছেন।
দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। এ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা আসবেন, যাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোনদিন আসবেন না। তার হৃদয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর অন্য কিছু ছিলো না। তিনি শুধু বাংলাদেশ, এশিয়া নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন।
বাসস/এমএসএইচ/২১১৩/-অমি