বাসস দেশ-২৫ : দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করুন : শ ম রেজাউল করিম

135

বাসস দেশ-২৫
গণপূর্ত-কর্মসম্পাদন-চুক্তি
দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করুন : শ ম রেজাউল করিম
ঢাকা, ২৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের মাধ্যমে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বার্ষিক কর্মস্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০১৯-২০২০ সম্পাদন এবং মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ এর সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সাথে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দপ্তর বা সংস্থার এই এপিএ স্বাক্ষরিত হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের প্রধানগণ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০২০ সম্পন্ন করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমানকে মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-২০১৮ তুলে দেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর-সংস্থাকে জনবান্ধব করতে চাই। সকল বিভাগে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে চাই। একজন মানুষও যেনো আমাদের মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থায় সেবা নিতে ঠুনকো অজুহাতে সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।’
পরে বিকেলে সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তর মিলনায়তনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী। এখানে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অজুহাতে কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ড যেনো স্তিমিত না হয়ে যায়। ইতোমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনেক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়াতে হবে।’
পরে মন্ত্রী গণপূর্ত অধিদপ্তর চত্বরে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সেবা সপ্তাহের (২৩ থেকে ২৭ জুন) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির।
বাসস/সবি/এমএন/১৯১৫/কেএমকে