দুর্গম অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানে সহায়তা দেবে ডেনমার্ক

516

ঢাকা, ২৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশের দুর্গম দ্বীপ ও হাওড় অঞ্চলের গ্রামীন জনগোষ্ঠীর মাঝে উচ্চগতির ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানে ১০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ডেনমার্ক।
‘ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গল এন্ড হাওড় এরিয়া প্রকল্পের” আওতায় এই সহায়তা করবে ডেনমার্ক।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইসরাফ পিটারসন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ রোববার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে মতবিনিময়কালে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাল জেপসন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গল এন্ড হাওড় এরিয়া প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে সাবমেরিন ফাইবার অপটিক ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলসমূহে সংযোগ স্থাপন করে সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। উপকূলীয় হাওড় ও দেশের উত্তর-পূর্ব দ্বীপ অঞ্চলে ফাইবার অপটিক্যাল সংযোগের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ই-সার্ভিস গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ টি আইসিটি রিসোর্স সেন্টার তৈরি করা হবে ও বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যাবে।
বেঠকে আরো জানানো হয়, এই প্রকল্পে স্থাপিত অবকাঠামোর মাধ্যমে হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে এবং এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে জ্ঞাননির্ভর সমাজ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন, কানেকটিভিটি, ই-কর্মাস ও ইন্ড্রাস্ট্রি প্রমোশন এ ৪টি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি ডেনমার্ককে আইসিটিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।