প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয়, সম্পদ : পলক

237

ঢাকা, ২২ জুন, ২০১৯ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেরা অক্ষম নন, বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয়, বরং সম্পদ।
তিনি বলেন, যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আজ রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালযের যৌথ উদ্যোগে ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা ২০১৯’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবসহ আইসিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে তিনজন করে মোট ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
তাঁরা হলেন- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে বগুড়ার সহদেব কুমার, সিলেটের জয়দ্বীন রায় এবং বরিশালের জহিদুল ইসলাম। শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে বরিশালের সাজ্জাদুল ইসলাম স্বাধীন, ইয়ামিন হোসেন আমিন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সজীব আলী। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে কুষ্টিয়ার নাজমুস সাইফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং ঢাকার ফারহান ইকবাল এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী বিভাগে ঢাকার রিশতা গালিব, ফেনীর রাফিউল ইসলাম এবং ঢাকার আশিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ ক্যাটাগরিতে আরও দুই জন প্রতিযোগীকে পুরষ্কৃত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রথ্মবারের মতো আয়োজন কনা হয়। চলতি বছর এটির চতুর্থ আসর সমাপ্ত হল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সক্ষমদেরকে বিশেষ ভাবে অক্ষমদের প্রতি আরও সচেতন ও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিবন্ধীদেরকে দেশের উন্নয়নের মূল ¯্রােতে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে পলক বলেন, আগে সমাজে প্রতিবন্ধীদের যে দৃষ্টিতে দেখা হতো সেই দৃষ্টিভঙ্গি এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে এদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে।
প্রতিবন্ধীদের অধিকার অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সমাজে তাদের অধিকার নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাও ঘরে বসে নেই। নিজ নিজ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অনলাইন জব পোর্টাল করা হবে। তারা যেন অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান বিশেষ করে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এবং নিতে পারেন । যেখান থেকে যেকোন স্থানের চাকরিপ্রার্থীর সাথে চাকরিদাতার যোগাযোগ হবে।
প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে পলক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধী।