১০০ কোটি টাকা উদ্যোক্তা তহবিল গঠনের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে বিসিআই

459

ঢাকা, ২২ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)। পাশাপাশি সংগঠনটি মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের ব্যবহৃত মৌলিক কাচাঁমাল আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার পূর্বক মূসক আইনের ৩১ ধারা সংশোধন এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই এমন অভিমত তুলে ধরে।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন,প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করলে ৫ শতাংশ কর রেয়াত প্রদান, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জাতীয় মানবসম্পাদ উন্নয়ন তহবিল গঠন অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এজন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়নের ঘোষণা, মূসক মুক্ত টার্নওভারের সীমা ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, টার্নওভার করের উর্দ্ধসীমা ৮০ লাখ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ বিপুল সংখ্যক আইটেম মূসকের আওতা মুক্ত রাখার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে বিসিআই।
সংগঠনটি বলছে, বিসিআই স্থানীয় ঋণপত্রের উপর ৩ শতাংশ, এলসি কমিশনের উপর ৫ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে মূল্যের উপর ৫ শতাংশ উৎসে কর আদায় করা হয়। একই পণ্য উপর্যুপরি উৎসে কর এবং বহু ক্ষেত্রে অর্জিত মুনাফার উপর প্রদেয় করের চেয়ে বহুগুন বেশি। কর্তনকৃত করসমূহ সমন্বয় বা ফেরত পাওয়া দুস্কর। এ সকল উৎসে কর রহিত করার অনুরোধ করেছে বিসিআই।