ওয়ার্নারের রেকর্ড

256

নটিংহ্যাম, ২১ জুন ২০১৯ (বাসস) : ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম কোন ব্যাটসম্যান হিসেবে দুইবার ১৫০ এর বেশী রান করে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৬ রান করার মাধ্যমে এই ইতিহাস রচনা করেছেন এই অস্ট্রেলিয়।
এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৬৪ বল মোকাবেলায় ১৭৮ রান করেছিলেন অসি ওপেনার।
বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে ১৪৭ বলের মোকাবেলায় ১৬৬ রান করেন বল টেস্পারিংয়ের কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফেরা ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে নিজের ২৬তম ম্যাচে এ রেকর্ড গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি হাকানো ৩২ বছর বয়সী ওয়ার্নারের স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসে ১১তম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের তালিকায়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়ক এ্যারন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত সুচনা করে। ১২১ রানের ওপেনিং জুটি গড়তে টাইগার বোলারদের কোন রকম পাত্তাই দেননি তারা।
৪৫তম ওভারে অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের স্লোায়ার একটি বল শর্ট থার্ডম্যানে উঠিয়ে দিয়ে আউট হন ওয়ার্নার। কিন্তু এর আগেই বাঁহাতি এই ওপেনার ফিঞ্চ ও উসমান খাজাকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রশদ জুগিয়ে যান। যার সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার তার প্রথম দুটি হাফ সেঞ্চুরি করতে ৫৫টি করে বল খেললেও শেষ ৫০ রান তুলেছেন মাত্র ৩০ বলে।
গত বছর কেপ টাউনে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেস্পারিংয়ের অভিযোগে ১২ মাস নিষিদ্ধ ছিলেন ওয়ার্নার। নিষেধাজ্ঞা শেষে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরতে পারায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ।’
১২ মাস নির্বাসনের পরও অক্ষুন্ন রয়েছে ওয়ার্নারের দুর্দান্ত ফর্ম। যার ব্যাটিংয়ে নির্ভর করে একের পর এক জয় পেয়ে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার করা ১৬৬ রানের সুবাদে ‘এই রান মেশিন’ এখন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৪৪৭ রানের মালিক।
নিষেধাজ্ঞার সময় নিজের কোন ব্যক্তিগত দক্ষতা অর্জিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অসি ব্যাটসম্যান বলেন,‘ ঘটনাটি ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের একটি কালো অধ্যায়। তবে এখন আমি নিজেকে সতেজ অনুভব করছি। আপনি কখনো এক বছর মাঠের বাইরে কাটাতে পারবেননা। বড় জোর কয়েক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা যায়।
এ সময় আমি নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। মনকে এই খেলা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেস্টা করেছি। এজন্য প্রচুর ভ্রমন করেছি। মন থেকে এসব ঘটনা দূর করার জন্য ঘরে এবং পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছি। যা ছিল খুবই উপভোগ্য।’