বিশ্বকাপ থেকে সম্মানজনক বিদায় লক্ষ্য দ: আফ্রিকার

301

বার্মিংহ্যাম, ২১ জুন, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : অনেক আশা নিয়েই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এসেছিল শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে খেলতে হলে দক্ষিন আফ্রিকাকে মিরাকল কিছু ঘটাতে হবে। তবে দলটির কোচ ওটিস গিবসন বলেছেন, টুর্নামেন্টের বাকী তিন ম্যাচে তাদের ভাল খেলার সুযোগ থাকছে।
ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের আয়োজনে ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দলটি। এ পর্যন্ত ছয় ম্যাচে অংশ নিয়ে তারা শুধুমাত্র দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি জয় পেয়েছে।
বুধবার প্রতিযোগিতায় ফেরার জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে তাদেরকে। ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকা দক্ষিন আফ্রিকা রোববার পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে। এর পর তারা মুখোমুখি হবে যথাক্রমে শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার।
গিবসন বলেন,‘ আমাদের হাতে এখনো তিনটি ম্যাচ রয়েছে। যেখানে আমরা এমনভাবে খেলতে চাই, যাতে সবাই মানতে বাধ্য হয় যে আমরা খেলতে জানি। এখানে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে, যারা সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ খেলছে। আমি চাই তারা যেন অন্তত পক্ষে ভাল খেলা দিয়ে নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে যান।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই অল রাউন্ডার বলেন, ‘দলে কিছু উদীয়মান তারকাও রয়েছে। আমি নিশ্চিত তারা আগামী বিশ্বকাপেও খেলবে। সুতরাং তাদের জন্য আমার বক্তব্য হচ্ছে তারা যেন একটি ভাল চিহ্ন রেখে যায়।’
লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ও মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান জেপি ডুমিনি এই টুর্নামেন্টের পরপরই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দু’জনের ক্যারিয়ারই বেশ সমৃদ্ধ। ২০১১ বিশ্বকাপে অভিষিক্ত হওয়া তাহির এ পর্যন্ত ১০৪টি ম্যাচে ১৭০টি উইকেট শিকার করে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দক্ষিন আফ্রিকার সফলতম স্পিনারদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
অপরদিকে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলছেন তরুন তারকা আইডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি।
ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই দলের এমন অস্থা স্বীকার করেন গিবসন।
দলটি টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র একবার ৩০০ রানের কোটা পার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনশ রান পার করলেও হেরেছে প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয় কোচ বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই বড় কোন সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারিনি। প্রত্যাশা মাফিক কোন বোলিং আক্রমণও রচনা করতে পারিনি। যে কারণে আমাদের বড় সংগ্রহ দরকার ছিল।
তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কাঁধে ইনজুরির একটি ম্যাচও না খেলে দলের সেরা পেসার ডেল স্টেইন দেশে ফিরে যাওয়ায় প্রথম ধাক্কা খায় দক্ষিন আফ্রিকা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি পেসার এনগিডিও। বার্মিংহ্যামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তিনি মাঠে ফিরেন।