শিশু পাচার প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : ডেপুটি স্পিকার

221

ঢাকা, ২০ জুন ২০১৯ (বাসস) : ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভেকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া শিশু পাচার প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, শিশু পাচার ও শিশু শ্রম প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এবিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিউনিটি পার্টিসিপেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মোসলেমা বারীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।
ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারনেই সরকার বাংলাদেশে শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর আগে কোন সরকার এ ধরণের বাজেট বরাদ্দ দেয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে সবসময় উদারতার পরিচয় দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বিধান করেছেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তা সঠিকভাবে সময়মত শিশুদের কল্যানে যাতে খরচ হয় সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এসময় শিশুদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বাজেটের সুষম ব্যয় নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো বেশি জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শামসুল হক টুকু বলেন, নারী-শিশুসহ মানব পাচার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়টিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে। এ কাজে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নিচ্ছে। এই কাজে সফলতার জন্য আমাদেরকে সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।