দারিদ্র্য বৈষম্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : স্পিকার

291

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন। সেই দর্শন অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের জন্য জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চীফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ফলে এখাতে আরও বেশিসংখ্যক সুবিধাভোগী সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করবেন। সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা যাতে অধিকসংখ্যক নারী পায় সে পদক্ষেপও সরকার গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দারিদ্র্য ও বৈষম্য প্রতিরোধ, বৃহত্তর মানব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃজন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারে কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম।
স্পিকার বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম বিধবা ভাতা চালু করেন। সময়ের পরিক্রমায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, বিগত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। দারিদ্য্র বৈষম্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।
স্পিকার আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের সুবিধা যাতে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তির নিকট পৌঁছে সে বিষয়ে সংসদ সদস্যরা প্রয়োজনীয় তদারকি করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অবহিতকরণ কর্মশালায় জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও সামাজিক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন যথাক্রমে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) ড. শামসুল আরেফিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে হুইপ আতিকুর রহমান আতিক, ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি, শামসুল হক চৌধুরী এবং সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
অবহিতকরণ কর্মশালায় একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত ১০৩ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।