বাজিস-১২ : গ্রামীণ জনপদে বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখছে গ্রাম আদালত, চট্টগ্রামে কর্মশালায় বক্তারা

175

বাজিস-১২
চট্টগ্রাম- গ্রাম আদালত
গ্রামীণ জনপদে বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখছে গ্রাম আদালত, চট্টগ্রামে কর্মশালায় বক্তারা
চট্টগ্রাম, ১৮ জুন ২০১৯ (বাসস) : গ্রামীণ জনপদে বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখছে গ্রাম আদালত। কার্যকর ও সক্রিয় গ্রাম আদালত গ্রামীণ ছোটখাটো বিরোধ-বিবাদ নিস্পত্তির মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এর ফলে উচ্চ আদালতের মামলার জটও অনেকটা কমে আসবে।
আজ মঙ্গলবার গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে চট্টগ্রামে দু’দিনব্যাপি ‘রিফ্রেশার্স’ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ দুপুরে এ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত ও সহজে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীতি।
আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশের সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালত চলমান রয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে এজলাস স্থাপন করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় ফার্নিচার, উপকরণ ও সহায়ক সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।’
তিনি গ্রাম আাদালতের সাফল্যের লক্ষ্যে দক্ষতার, প্রয়োজনীয় তদারকী ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উপর গূরুত্বারোপ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াছমীন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালেহ আহম্মেদ চৌধুরী, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী, সহযোগি সংস্থা ব্লাস্ট-এর জেলা সমন্বয়কারী মো. সাজেদুল আনোয়ার ভূইয়া এবং উপজেলা সমন্বয়কারী মো. জানে আলম।
বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র (ইউএনডিপি) আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২)’ প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে।
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকু-, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া- পাঁচটি উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নে প্রকল্প চলমান রয়েছে।
বাসস/ডিবি/এসকেবি/১৯৩৮/এমকে