বাসস দেশ-৯ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

169

বাসস দেশ-৯
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-চুক্তি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০১৯ (বাসস): স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার মধ্যে (২০১৯-২০২০) অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি আজ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং আওতাধীন সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় এ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো: শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১’এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট।এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য। এর লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি,সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থা পদ্ধতি চালু হয়েছে।এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।অর্থবছর শেষে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
তিনি আরো জানান, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের আন্তরিকতার ফলে গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৯২ দশমিক ৭৬ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এপিএ’র ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগুলোর অর্জিত গড় নম্বর ৮৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এই চুক্তির মাধ্যমে মূলত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে পদ্ধতিনির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এ পদ্ধতিতে সরকারি কর্মসম্পাদনের নিরপেক্ষ ও নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন,এ চুক্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মন্ত্রণালয় কি অর্জন করতে চায়, কীভাবে অর্জন করতে চায় এবং কার জন্য অর্জন করতে চায় অর্থাৎ এর সম্ভাব্য উপকারভোগী কারা, সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকার, বিশেষত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প ২০২১ এবং অন্যান্য কৌশলগত দলিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে। চুক্তি চূড়ান্ত করার পূর্বে খসড়া প্রণয়ন করে সকল দপ্ত/সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১’এ উল্লেখ করা হয়েছে,‘আগামী এক দশকে এ দেশে ক্ষুধা, বেকারত্ব, অশিক্ষা, বঞ্চনা ও দারিদ্র্য থাকবে না।দেশে বিরাজ করবে সুখ, শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি। সরকার বিশ্বাস করে যে,এই লক্ষ্য পূরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য এবং সেই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলছে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভিশন হচ্ছে সুখী সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সোনার বাংলা। আমাদের এটিই হল কাঙ্খিত গন্তব্য। সেই লক্ষ্যে পৌছানোর লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
বাসস/সবি/এসএস/১৭০৩/কেকে