সিএমসিএইচ’র করোনারি কেয়ার ইউনিটে নতুন ১৫টি শয্যা দিচ্ছে রোগী কল্যাণ সমিতি

405

চট্টগ্রাম, ১৭ জুন, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) শয্যা আরো ১৫টি বাড়ানো হচ্ছে।
হদরোগে আক্রান্তদের উন্নত সেবা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫টি নতুন শয্যা দেয়া হবে।
চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা বাসসকে বলেন, ‘হৃদরোগ বিভাগের সিসিইউতে সমিতির পক্ষ থেকে নতুন ১৫টি শয্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি শয্যার জন্য প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সিসিইউ’র এয়ার কন্ডিশনারগুলোও মেরামত করে দেওয়া হবে। শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি হলে অধিক রোগীর সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সিসিইউতে এসব শয্যা স্থাপনের জন্য ওয়ার্ডের যাবতীয় প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে অভিজিৎ সাহা জানান।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের (জুন) মধ্যেই করোনারি কেয়ার ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করে উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে মনিটর, এসি মেরামতসহ সব ধরনের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, মাত্র ২৫ টাকার টিকিটের বিনিময়ে হাসপাতালটিতে সেবা মেলে। তবে রোগীর তুলনায় সুবিধা সীমিত। এজন্য চাহিদামতো সেবা পায় না রোগীরা। প্রতিদিন এ হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে ছয়শ’ থেকে নয়শ’ রোগী ভর্তি হন। নিয়মিত হাসপাতালে ভর্তি থাকেন প্রায় আড়াই হাজার রোগী। এ ছাড়া বহির্বিভাগে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী সেবা নেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, চমেক হাসপাতালে এক হাজার ৫০০ শয্যার মধ্যে সিসিইউ সংখ্যা মাত্র ১৫টি। হৃদরোগ বিভাগে ১৯৮৯ সালে সিসিইউ চালু হয়। সিসিইউতে গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ২৬০ জনের অধিক রোগী সেবা নিয়ে থাকে।
রোগীদের সেবাপ্রাপ্তি ও অধিক রোগীর চাপ কমিয়ে আনতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় রোগী কল্যাণ সমিতি। এতে আগের ১৫টির সঙ্গে নতুন আরও ১৫টি শয্যা যোগ হলে সিসিইউ’র শয্যা সংখ্যা হবে ৩০টি।
সম্প্রতি চমেক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হৃদরোগ বিভাগের বারান্দায় পর্যন্ত রোগীরা শয্যা পেতেছেন। সেখানে রোগীর জন্য পা ফেলা কষ্টকর। সিসিইউতে গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতেও রোগী রাখা হয়েছে। সাধারণ শয্যার অবস্থা আরও করুণ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত মূমূর্ষ রোগীকে সিসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে এ সেবা দেয়া গেলে রোগীর অবস্থা ভালো রাখা যায়। নয়তো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
হৃদরোগ বিভাগের প্রধান প্রবীর কুমার দাশ বলেন, শয্যার তুলনায় তিন গুণ বেশি রোগীর চাপ থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত মূমূর্ষু রোগী সিসিইউতে দিতে হয়। কিন্তু আমাদের শয্যা সীমিত। চাহিদার তুলনায় সিসিইউতে শয্যা কম। এজন্য অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হন। অন্তত শয্যা থাকলে রোগীরা সুবিধা পাবেন। ফলে জটিল অবস্থায় থাকা রোগীদের আমরা সিসিইউতে শয্যা দিতে পারবো।