টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত

349

কক্সবাজার, ১৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : র‌্যাবের সাঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ উপজেলায় তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলা সদরের চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা সুলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে রাসেদুল ইসলাম (২২) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদ মাস্টার হাট এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)।
র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, নিহতরা ইয়াবাকারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।
টেকনাফস্থ র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের ইনচার্জ (বিএন) লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, শনিবার সকালে বাজারঘাটা এলাকা থেকে ইয়াবা কারবারি শহিদুল ইসলামকে ইয়াবাসহ আটক করে র‌্যাব। তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল গতকাল গভীর রাতে ইয়াবার উদ্ধারে জন্য টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ি ঢালা এলাকায় অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা শহিদুলকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পিছু হটে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থলে তল্লাসী চালিয়ে তিন জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। র‌্যাব সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্বব্যরত চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেবনাথ গুলিবিদ্ধদের মৃত ঘোষণা করেন।
র‌্যাব কর্মকর্তা জানান- ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, চারটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (এলজি) ও ২১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩২) ও কনস্টেবল মোহাম্মদ সোহেল (২৮)। আহতদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
র‌্যাব কর্মকর্তা মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই জন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় তারা একটি মাদক চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
এছাড়া এর আগের দিন কক্সবাজার থেকে উদ্ধারকৃত ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা চালানের সাথে তারা জড়িত ছিল।
নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।