রোমান সানার জন্য গর্বিত বাংলাদেশ

257

ঢাকা, ১৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : আসন্ন ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে রোমান সানা। ‘এই বিশ্বকাপ আরচারি থেকে ভারতের তিনজন টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমাদের দেশ থেকে রোমান সানা। আমরা গর্বিত। সেই সঙ্গে রোমান সানার এই অর্জন দেশবাসীকে উৎসর্গ করলাম’,কথাগুলো বললেন আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল। ‘উই নিড টু হিরো’ নামে রোমান সানাকে নিয়ে দেশব্যাপী প্রচারনার কথাও রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান আরচারির পৃষ্ঠপোষক তীরের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রুবাইয়াত হোসেন। এ সময় বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় নেদারল্যান্ডসকে থেকে দেশে ফিরবেন সরাসরি অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা দেশের দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ রোমান সানা।
২০০৩ সারে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন। গত ১৫ বছরের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ইয়ুথ অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের আরচার ইমদাদুল হক মিলন। রোমান সানার পাশাপাশি রিকার্ভ মিশ্র দলগতের কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেছিলেন রোমান সানা, হাকিম আহমেদ রুবেল ও তামিমুল ইসলাম। কিন্তু কোরিয়ার কাছে হেরে দলগত এই ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। নইলে আরও একটি ইভেন্টে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারতো বাংলাদেশ।
বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিকুর প্রথমবার সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে রোমান সানা খেলছে অলিম্পিকে। এটা আমাদের দেশের জন্য গর্বের। আমার মনে হয় জিমন্যাস্টিকস ও ফেন্সিংয়ের মতো অনেক ডিসিপ্লিন ভবিষ্যতে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।’
আসলে ফেডারেশনের একাগ্রতা এবং পৃষ্ঠপোষক তীর গ্রুপের আর্থিক সহযোগিতায় এই সল্প সময়ে বাংলাদেশে আরচারির এই উত্থান। তীর গ্রুপ কেবলমাত্র অর্থ দিয়েছে তাই নয়। সাথে সাথে নিয়মিত মনিটরিং করেছে। যার ফল আজকের রোমান সানা।