৬ দফা আন্দোলনই গণজাগরণ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী পাকিস্তানী শাসকদের পতন ঘটায়

350

ঢাকা, ১৪ জুন, ২০১৯ (বাসস) : স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ৬ দফা ও বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ৬ দফা আন্দোলনই পূর্ব বাংলায় গণজাগরণ সৃষ্টি করে এবং স্বৈরাচারী পাকিস্তানী শাসকদের পতন ঘটে। ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ও স্বাধীনতার মূল মন্ত্র।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ‘৭ই জুন ১৯৬৬’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
‘স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট,৬ দফা ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদঅধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, মোঃ শফিকুর রহমান এমপি, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার।
ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী মহান নেতা ছিলেন। বাঙালি মুক্তি ও স্বাধীনতার কথা সব সময় তিনি ভাবতেন। বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তিনি আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও স্বাধীকার আন্দোলনের রূপকার ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী স্বৈরাশাসনের হাত থেকে বাঙালির মুক্তির জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি দেন এবং ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করেন।
তিনি বলেন, ৬ দফা আন্দোলনই পূর্ব বাংলায় গণজাগরণ সৃষ্টি করে এবং স্বৈরাচারী পাকিস্তানী শাসকদের পতন ঘটে। ৬ দফার প্রতিটি দফাই বাঙালির শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির নির্দেশনা ছিল।
মোঃ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. এস এ মালেক বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরের অত্যাচার, নীপিড়ন, বৈষম্য প্রভৃতির বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ফসল আজকের এই বাংলাদেশ।