বাসস বাজেট-৩২ : গুল জর্দার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব

163

বাসস বাজেট-৩২
বাজেট-তামাক
গুল জর্দার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব
ঢাকা, ১৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ২ টাকা বৃদ্ধি করে ৩৭ টাকা নির্ধারণ এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে উচ্চ এবং প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৬৩ টাকা, ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ জাতীয় সংসদের বাজেট পেশের সময় এই শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী ধূমপানবিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ব্যাবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এ তিনটি বিষয় সমন্বয় পূর্বক তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে এই শুল্ক কর কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির মূল্য ১.৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক গত তিন বছর অপরিবর্তিত রাখার পর এবারের প্রস্তবিত বাজেটে ৩০ ভাগ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ ভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৫০ভাগ।
তামাক বিরোধী সংগঠন প্রঞ্জার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বাতিলের জন্য তামাকবিরোধী আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৫০ ভাগ।
তিনি বলেন, ওজনের উপর ভিত্তি করে জর্দা ও গুলের মূল্য নির্ধারণ করার ফলে এসব পণ্য থেকে কর আদায়ের জটিলতা কিছুটা হলেও সহজ হবে এবং আদায়কৃত করের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ তামাক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠিকে জর্দা-গুল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
বিড়ির সম্পূরক শুল্ক বিগত তিন বছর অপরিবর্তিত রাখার পর ৩০ভাগ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ ভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরফলে বিড়ি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
তবে জনগণের মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে নিম্নস্তরের সিগারেটের এই অতি সামান্য মুল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতার কোনো পরিবর্তন হবেনা এবং একই সাথে ধূমপান শুরু করতে পারে এমন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা যাবেনা বলে তিনি মনে করেন।
বাসস/কেসি/১৯৫৫/এইচএন