আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

215

ঢাকা, ১১ জুন ২০১৯ (বাসস) : আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে (এ.এফ.এম.সি) বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে র‌্যালী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটি এ.এফ.এম.সি এর সামনে থেকে পুরো চত্ত্বর ঘুরে আসে।
র‌্যালী শেষে ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাইদুর রহমানের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ভূমিকা এবং তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকারের উপায় তুলে ধরা হয়। এসময় সেমিনারে চেয়ারপার্সন কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো: মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানিয়ে বলা হয় , এতে প্রধান অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ লাংগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর মো: আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস এর কন্সালটেন্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল মেজর জেনারেল মো: আজিজুল ইসলাম এবং মাদক বিরোধী সংগঠন ‘মানস’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর অরুপ রতন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর মো: আলী হোসেন,মেজর জেনারেল মো: আজিজুল ইসলাম এবং চেয়ারপার্সন কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো: মুস্তাফিজুর রহমান ধুমপান বিষয়ে সচেতনামূলক বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও সেমিনারে বক্তৃতা করেন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আব্দুর রাজ্জাক,প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন মুশফিকা হক মুমু এবং সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা: কাজী অদ্রি আরাফাত রহমান।
প্রতি বছর ৩১ শে মে সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশে পালন করা হয়। এবছর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়: সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়।’ ফুসফুসে ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস, এ্যাজমা, যক্ষ্মা, নিউমনিয়া সহ বিভিন্ন ফুসফুস-জনিত যে সব রোগ মানব দেহে বাসা বাঁধে মূলত সেগুলোর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী করা ছিলো এ দিবসের লক্ষ্য। এছাড়াও তামাক ছাড়ার বিভিন্ন উপায় তুলে ধরা হয়। ঔষধের ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন পারিবারিক এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়।
মানস, আধুনিক, প্রজ্ঞা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী করে।
সেমিনারে জানানো হয়,এক পরিসংখ্যান এ দেখা যায় বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে।প্রতি বছর দেশে এক লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করে। একটি সিগারেট ব্যবহারে একজন মানুষের ১১ মিনিট আয়ু কমে যায় এবং ধুমপান জনিতকারনে বিশ্বব্যাপী প্রতি ৪ সেকেন্ডে এক জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ফুসফুস ছাড়াও হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী, রক্তনালী সহ বিভিন্ন অঙ্গ তামাকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তামাক নেশা থেকে বেড়িয়ে আসার ক্ষেত্রে মানুষের ইচ্ছা শক্তি সবচেয়ে বড় অবদান রাখে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিকাল্স লিমিটেড এর পৃষ্ঠপোষোকতায় আয়োজিত সেমিনার শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।